সাহসিকতার পরিচয় দিল কালনার নবম শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশুনার জন্য খাতা কিনতে দোকানে গিয়েছিল ছাত্রীটি। তখনই দুই যুবকের কুনজরে পড়ে যায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীটি। দোকান থেকে খাতা কিনে বেরোতেই তাকে ভয় দেখিয়ে মোটরবাইকে তোলা হয়। তারপর তীব্র গতিতে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় দুই যুবক। প্রাণ ভয়ে বাঁচতে ওই ছাত্রী চেঁচামেচি করলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এমনকী ওই ছাত্রীকে মোটরবাইকে নিয়ে যাওয়ার সময় গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখাতে থাকে ওই দুই যুবক। তারপর সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে হয় মুক্ত ওই নবম শ্রেণীর পড়ুয়া।
ঠিক কী ঘটেছে কালনায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা অঞ্চলের নাদানঘাটে। সোমবার রাস্তার মধ্যে থেকেই ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়েছিল দুই যুবক। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। ওই ছাত্রীর বাবা–মা থানায় গিয়ে খবর দেন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু তার আগেই সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রী সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
কী সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে ওই ছাত্রী? জানা গিয়েছে, কিছু দূরে নাদানঘাটের সেতুর কাছে মোটরবাইক থামিয়ে এক যুবক জল আনতে গিয়েছিল। সেই সুযোগে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ওখান থেকে পালায় ওই ছাত্রীটি। মোটরবাইকে থাকা অপর এক যুবকের হাত কামড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় নবম শ্রেণির ছাত্রী। তারপরে একটি টোটো ধরে নিজের স্কুলে চলে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে নিজের বান্ধবীকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। তারপরে ওই বান্ধবী স্কুলের সবাইকে জানিয়ে দেয়।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়। গোটা ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানায় ওই নবম শ্রেণির ছাত্রীর পরিবার। যার ফলে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। ছাত্রীটি আপাতত অসুস্থ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।