বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি অধীর চৌধুরীর, বহরমপুরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ধুন্ধুমার‌

পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি অধীর চৌধুরীর, বহরমপুরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ধুন্ধুমার‌

পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।

কংগ্রেসের দাবি, এই কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল। অধীর চৌধুরী সভার প্রধান বক্তা সেটাও নির্ধারিত ছিল। তাহলে হঠাৎ কেন পুলিশের বাধা? উঠছে প্রশ্ন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ভাগিরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।  অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই বিষয় প্রতিবাদ করতেই অধীর চৌধুরীর সভা ছিল।

নিজের গড় বহরমপুরে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। আজ, শুক্রবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে স্মারকলিপি জমা দিতে যান কংগ্রেস সাংসদ। তবে সেখানে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন তিনি। আর তখনই বহরমপুরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। ভাগিরথীর দুগ্ধ সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। আজ, শুক্রবার সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অধীরের কনভয় উঠতেই পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। গাড়ি থেকে নেমে কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে হেঁটেই সভাস্থলে যাচ্ছিলেন অধীর চৌধুরী। তখন পথ আটকালে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

এদিকে অধীররঞ্জন চৌধুরী স্মারকলিপি প্রদান করতে যাওয়ার আগে বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এবং ভাগীরথী মিল্ক কো–অপারেটিভ ইউনিয়নে আসার আগেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল আটকানোর জন্য ব্যারিকেড করে জেলা পুলিশ। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় অধীররঞ্জন চৌধুরীর। এই ঘটনায় উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় এবং রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। শুক্রবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।

অন্যদিকে ভাগীরথী মিল্ক কোঅপারেটিভ ইউনিয়ন যাতে কৃষকদের কাছ থেকে দুধ কেনে সেই দাবিতেই এদিন এই স্মারকলিপি প্রদান করতে যান অধীরবাবু। যদিও স্মারকলিপি প্রদান না করতে পারার পর ক্ষোভ ফেটে পড়েন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। মিছিল করে বহমপুরের ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতির কার্যালয়ের সামনে যান অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। তখন কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের বাধা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যায় কংগ্রেসের মিছিল। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অধীর–সহ কংগ্রেস অনুগামী দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন:‌ ‘ঘৃণা ও ধর্মান্ধতার রাজনীতির বদলে উন্নয়নের জয়’‌, ধূপগুড়ির ফলে টুইট অভিষেকের

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ কংগ্রেসের দাবি, এই কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল। অধীর চৌধুরী সভার প্রধান বক্তা সেটাও নির্ধারিত ছিল। তাহলে হঠাৎ কেন পুলিশের বাধা? উঠছে প্রশ্ন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ভাগিরথী দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আর অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতেই অধীর চৌধুরীর আজ সভা ছিল। তাই পুলিশকে দিয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের ক্ষমতায় থাকার সময় রোজ ১ লক্ষ ৭০ হাজার লিটার দুধ কেনার ব্যবস্থা করেছিল। গত কয়েকবছরে সেই ভাগীরথী ইউনিয়ন লোকসান দেখিয়ে সংস্থা বেঁচে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।

বন্ধ করুন