লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই নিয়ে চতুর্থবার বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যত না প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য আসছেন তার চেয়ে বেশি লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করছেন। এবার তাঁর এই বারবার বঙ্গ–সফরে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। আজ, শনিবার শিলিগুড়িতে চতুর্থবার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে আরামবাগ, বারাসত, কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন। এবারের শিলিগুড়ির সভা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বহরমপুরের সাংসদ। তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি যদি সত্যিই বাড়ছে বলে প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসী, তাহলে তো এত ঘন ঘন আসার দরকার নেই।
এদিকে আজ বহরমপুরে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিলিগুড়ির সভা নিয়ে খোঁচা দেন তিনি। অধীর চৌধুরী প্রশ্ন, কেন বারবার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় আসতে হচ্ছে প্রচারের জন্য? যদি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারে থেকে উন্নয়নের কাজ করে থাকেন তাহলে তো চিন্তার কিছু নেই। মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ৬ তারিখ প্রধানমন্ত্রী বাংলায় তিনবার এসেছেন। এবার ৯ তারিখ শিলিগুড়িতে এলেন। অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ—দুটো জায়গাতেই এলেন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রচার করতে।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি অভিযানের ডাক দিল সিপিএম, লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তি পরীক্ষা
অন্যদিকে এখানে এসে সন্দেশখালি নিয়ে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ মণিপুরের নারকীয় ঘটনার পর একবারও যাননি প্রধানমন্ত্রী বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। অথচ ভারত আত্মনির্ভর হয়েছে বলে দাবি করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেছেন, আত্মনির্ভর হচ্ছে ভারত, যদি সত্যিই বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী তাহলে একটা রাজ্যে এত ঘন ঘন সফর করতে হয় না। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গেই কথা বলে জোট সুনিশ্চিত করছেন। এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সবার সঙ্গে কথা বলে আসন সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’
এছাড়া সমস্ত রাজ্যেই আসন সমঝোতা নিয়ে হওয়া সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান অধীরবাবু। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। এটা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। তৃণমূলের সঙ্গে জোট হচ্ছে না সেটা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল আমাকে দু’ভাবে আক্রমণ করছে। এক, রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করতে মিথ্যে তথ্য প্রচার করছে। দুই, আমার সাংসদ তহবিলের টাকায় প্রকল্প খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে আমার পারফরম্যান্স নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলা যায়।’