লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে রেখে পালে হাওয়া টানতে চাইছে বিরোধীরা। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সভার দিনই সন্দেশখালিতে সভা করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তার পরের দিন সোমবার সিপিএম সন্দেশখালিতে সভা করতে চাইছে। এলাকার মানুষদের সমর্থন পেতে এই পথেই হাঁটছে বিরোধীরা। তাই পালা করে বিজেপি–সিপিএম সন্দেশখালির মাটিতে সভা করতে চাইছেন নেতারা। দু’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে যায় বিজেপি। অথচ সন্দেশখালির মহিলারা গতকালই তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় পা মিলিয়েছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শক্তিপরীক্ষা দিতে সন্দেশখালি অভিযানের ডাক দিল সিপিএম।
এদিকে আগামী ১১ মার্চ সোমবার সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক দিয়েছে সিপিএম। এই সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভার পরের দিনই সন্দেশখালিতে মিছিল ও সমাবেশ করবে সিপিএম। সুজন চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের নেতৃত্বে সমাবেশের আয়োজন করেছে বামেরা। এই নিরাপদ সর্দার এখন জামিনে আছেন। কারণ তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। সোমবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ সন্দেশখালি থানার সামনে সিপিএমের সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চড়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ, নয়া রুটে সফর কবে?
অন্যদিকে সন্দেশখালি এখন ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। এখন তিনি সিবিআই হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালিতে গিয়ে নিজেদের দিকে হাওয়া টানতেই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশের পরই সভা করার ডাক দিয়েছে সিপিএম। আর বিজেপি তো দিনের দিনই ডেকে দিয়েছে। বামেদের সভায় মূল বক্তা থাকবেন দেবলীনা হেমব্রম, সুজন চক্রবর্তী, পলাশ দাশ, নিরাপদ সর্দার–সহ অন্যান্যরা। এই সভা করার জন্য বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি মিলেছে বলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম সূত্রে খবর।
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। একের পর এক গ্রেফতার থেকে শুরু করে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালিতে। তাছাড়া পাট্টা জমি যা আগে রেকর্ডে ছিল না সেগুলি রেকর্ডে তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এই কাজগুলির ফলে আন্দোলন সেভাবে করে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নতুন করে নিজেদের পালে হাওয়া টানার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলেন,‘দলীয় কার্যালয় তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে রেখেছিল। আজ আমাদের ছেলেরা নিজেদের বাড়ি ফিরে পেয়েছে। এই পার্টি অফিসে এসে গরিব মানুষেরা তাদের নিজেদের দুঃখের কথা জানাবে।’