এবার কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য়ের কাটমানির আবদার পূরণ করতে পারেননি দম্পতি। তার জেরে নানা ধরনের সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা। এবার বাধ্য হয়েই মৃত্য়ুর পথই বেছে নিতে চাইছেন তাঁরা। মালদহের চাঁচলের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে একেবারে তোলপাড় অবস্থা। একেবারে বিডিওর কাছে চিঠি দিয়ে নিজেদের মৃত্যু প্রার্থনা করেছেন বৃদ্ধ দম্পতি। বিডিওকে পাঠানো চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, মৃত্যু ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আমলাপাড়ার বাসিন্দা গৌড় চন্দ্র দাস ও গয়া দেবী চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অর্ধেক দিন খাবারও জোটে না ভালো করে। একেবারে জীর্ণ ঘর। যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। বাধ্য হয়েই কখনও ত্রিপল টাঙিয়ে , বা অন্যের বারান্দার নীচে আশ্রয় নেন ওই বৃদ্ধ দম্পতি। বয়সজনিত অসুস্থতায় ক্রমেই শরীর ভেঙে পড়ছে। এদিকে একটু সরকারি সহায়তার জন্য ওই বৃদ্ধ দম্পতি সকলের দোরে দোরে ঘুরছেন। কিন্তু সরকারি সমস্ত সুবিধা থেকেই তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই তাঁরা এবার চিঠি লিখেছেন বিডিওর কাছে।
তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা পম্পা চৌধুরীর কাছে তিনি সহায়তার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ২০ হাজার টাকা কাটমানি চান বলে অভিযোগ। কিন্তু তা দিতে পারেননি দম্পতি। এর জেরে বার্ধক্যভাতা, সরকারি আবাস যোজনার ঘর সহ সরকারি সহায়তা কিছুই মেলেনি। তবে বিজেপির দাবি, তাঁরা কাটমানিতে বিশ্বাসী নন। অন্যদিকে তৃণমূলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলে এফআইআর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ব্লক প্রশাসন।