করোনা হাসপাতালে নেই শয্যা। তাই অ্যাম্বুল্যান্সেই পড়ে থেকে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। স্বাধীনতা দিবসের রাতে এই ঘটনা পাঁশকুড়ার। মৃত বৃদ্ধ তমলুক মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার তাঁকে পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালে রেফার করেন সেখানকার চিকিৎসকরা। কিন্তু করোনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানানো হয়, খালি নেই বেড। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রোগীকে একবার এসে দেখেননি চিকিৎসকরা। দোতলা থেকেই তাঁদের রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে বলেন তাঁরা।
চলতি সপ্তাহেই কলকাতার ডিসান হাসপাতালে টাকা না মেটানোয় রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার। এবার একই অভিযোগ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তবে টাকা নয়, এবার কারণ শয্যাসংকট।
শনিবার তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮২ বছর বসয়ী ওই বৃদ্ধের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর তাঁকে পাঁশকুড়া করোনা হাসপাতালে রেফার করা হয়। নিয়ম অনুসারে করোনা হাসপাতালে রোগীকে রেফার করার আগে সেখানে শয্যা খালি আছে কি না জানতে হয়। রোগীকে নিয়ে পাঁশকুড়া করোনা হাসপাতালে পৌঁছনোর পর জানানো হয়, রোগীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তাঁকে ICU-তে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে ICU-র কোনও শয্যা খালি নেই। জেনারেল বেড কয়েকটি রয়েছে।
এর পর রোগীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১ ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে অনুরোধ করলেও কর্ণপাত করেননি কেউ। এমনকী দোতলা থেকে নেমে এসে রোগীকে দেখেননি কোনও চিকিৎসক। এসব চলাকালীনই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের।
ঘটনায় পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তমলুক মহকুমা হাসপাতাল তাদের না জানিয়েই রোগী পাঠিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তমলুক মহকুমা হাসপাতাল।