এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন বছরেই তা হতে চলেছে। এমনকী তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। সব দলই এখন ব্যস্ত জনসংযোগ করতে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জোর রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে শাসক–বিরোধীদের মধ্যে। এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল, শুক্রবার বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার বিজেপি–সিপিআইএম নেতা–কর্মী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
ঠিক কী ঘটেছে উলুবেড়িয়ায়? এদিন আমতা বাসস্ট্যান্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিবাদ সভায় বিজেপি–সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন নেতা–কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, হাওড়া জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ ইলিয়াস–সহ অন্যান্য নেতারা।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন বহ বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে নেতা–কর্মীরা। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি আরও তিন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে আসার জন্য যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধস নামায় বেশ জোর ধাক্কা খেয়েছে বিরোধী শিবির বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর জনসভার দিনই ভাঙন ধরল কংগ্রেসে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় আট শতাধিক কংগ্রেস কর্মী। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমদোল ঘাট–সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বুথ থেকে প্রায় ৮০০ কংগ্রেস কর্মী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন–সহ অন্যান্যরা।