কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ বা মহার্ঘভাতা চাই। এই দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। এই দাবি নিয়ে জোর চলছে আইনি লড়াই। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য সরকার পর পর কয়েক কিস্তি ডিএ বা মহার্ঘভাতা দিয়েছে। যদিও তাতে খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আবার রাজ্য সরকার কর্মীদের পরিবার বলে মনে করেন এমন বার্তাও আগে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এবার এই ডিএ নিয়ে চমকপ্রদ মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? আজ, রবিবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা কনভেনশনে উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে সাংসদ বলেন, ‘চাওয়া পাওয়া তো থাকবেই। সব চাওয়া সবসময় পূরণও হয় না। কিন্তু তার মানে সব পাওয়াগুলি ভুলে গেলে হবে না। আরও কিছু চাওয়া থাকবে। সেগুলি নিয়েও আলোচনা হবে। কিন্তু পাওয়া ভুলে গেলে চলবে না।’ এই মন্তব্য কেন করলেন? সেটা ব্যাখ্যা করেননি। তবে মনে করা হচ্ছে যে দাবি সরকারি কর্মীরা করছেন সে চাওয়া থাকবেই। আর যে ডিএ দেওয়া হচ্ছে সেটা ভুললে চলবে না।
কাদের জন্য তাঁর এই বার্তা? তবে চাওয়া যে একেবারে মিলবে না তা নয়। সময় সুযোগ হলেই তা মিলবে। ইঙ্গিত রযেছে এমনও। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা বলে শতাব্দী রায় বলেন, ‘ডিএ আন্দোলনকারীরা বলে শুধু নয়, সকলেরই চাওয়া পাওয়া থাকে। ডিএ নিয়ে ওরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি নিশ্চয়ই ভাবছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বড়দিনের আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কথায়, ‘এআইসিপিআই মেনে আমরা মহার্ঘভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছি। কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েছে। এই দুই তিন শতাংশ ডিএ আসলে ভিক্ষে।’
আরও পড়ুন: জাতি শংসাপত্র দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য, কাল রায়
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্য়ের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া আগে কেন্দ্রের বকেয়ার বিষয়টিকে সামনে রেখেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রের থেকে বিপুল টাকা পায় রাজ্য। সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানবিক দিক থেকে তিনি বিচার করে দেখছেন সরকারি কর্মীদের বিষয়টিও।’ এখন মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি আছে।