আবার পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে মামলা গড়াল আদালতে। এই অভিযোগ উঠেছে দার্জিলিংয়ের মতো পর্যটনের জায়গায়। এখানে টাইগার হিলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। আর কয়েকদিন আগে পরিবেশ আদালতে এই নিয়ে মামলা করেছেন সুভাষ দত্ত। নির্মাণ, মোবাইলের টাওয়ার বসানো এবং দূষণ বেড়ে গিয়েছে টাইগার হিলে। আর তাই পর্যটক থেকে বন্য প্রাণীর ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই গোটা বিষয়টিকে নজরে রেখে মামলা করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
ইতিমধ্যেই একবার এই মামলা শুনানি হয়ে গিয়েছে। দু’দিন আগে বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং অরুণকুমার বর্মার বেঞ্চে শুনানি হয়। এখানেই অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৮ হাজার ফুট উচ্চতায় রয়েছে সিঞ্চল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। আর তার অন্তর্গত ওই এলাকায় অবাধে কংক্রিটের নির্মাণ চলছে। লোহার কাঠামো থেকে শুরু করে একাধিক মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। তার সঙ্গে বাড়ছে দূষণ। তাই গাছপালা, পশুপাখি থেকে সাধারণ পর্যটক যাঁরা এখানে আসছেন তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নানা দফতরকে নোটিশ করা হয়েছে। আগামী ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: ‘বি কুল’, উদয়ন গুহকে সতর্ক করে নিশীথ প্রামাণিককে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে টাইগার হিলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অভিযোগ ওঠায় বহু পর্যটক চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নানা ভ্রমণ সংস্থাকে নিয়ে গঠিত হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘টাইগার হিল একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। দেশ–বিদেশ থেকে মানুষ আসেন। পর্যটনের উপর জীবন–জীবিকা নির্ভরশীল। পর্যটকদের গাড়ি থেকে দূ্ষণ ছড়াচ্ছে কিনা আমরা নজরে রাখছি।’ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, বন ও পরিবেশ, আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রক রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান এবং জেলাশাসকদের হলফনামা দিয়ে এই বিষয়ে জবাব দিতে বলেছে আদালত।
অন্যদিকে এই দূষণ রুখতে এবং পর্যটনের প্রসার ঘটাতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, ‘বনাঞ্চল রক্ষার কাজে আমরা জোর দিয়েছি। বাসিন্দাদের সচেতন করছি।’ মামলাকারী সুভাষ দত্তের অভিযোগ, ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ এখানে টাওয়ারের জেরে পাখিদের স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা হচ্ছে। তাছাড়া পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে বলে আবর্জনাও বাড়ছে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই বলে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘আদালতের নথি পাইনি। ওটা পেলে খতিয়ে দেখে মতামত জানানো হবে।’