সব জেনে শুনেও কোনও ব্যবস্থা নেননি পুলিশ। তাদের নাকে ডগাতেই রমরমিয়ে চলেছে বাজির কারবার। এমনই অভিযোগ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। এবার দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করা হল। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সোমবার ওসি হিমাদ্রি রায়কে সাসপেন্ড করে পুলিশ।
বেআইনি বাজি কারখানায় এই বিস্ফোরণের পর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও এ দিন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গত আড়াই-তিন মাস ধরে এই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বেআইনি বাজি বাজেযাপ্ত করা হয়েছে। তার পর এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।’
রবিবার সকালে বারাসতের দত্তপুকুরে একটি বেআইনি বাজি করাখানায় বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯। রবিবার রাতে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ডেকে পাঠান। দু’জনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। তাঁদের বেশ কিছু নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এগরার পর মাস কয়েক ঘুরতে না ঘুরতে রাজ্যে আবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে বাজি ক্লাস্টার তৈরিতে গতি আনার বিষয়ে নির্দেশ দেন প্রশাসনকে।
(পড়তে পারেন। দত্তপুকুরের অকুস্থলে পৌঁছল এনআইএ টিম, অভিযুক্ত আইএসএফের নেতা পলাতক)
(পড়তে পারেন। শব্দবাজি নয়, সবুজবাজি বানান, টাকা কম হবে, কিন্তু জীবন তো বাঁচবে, ‘পরামর্শ’ মমতার)
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ নিয়ে কিছু না বললেও সবুজ বাজির পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবুজ বাজি তৈরি করুন, তাতে কিছুটা টাকা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’
দত্তপুকুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে বাজি কারখানা মালিক কেরামত আলির সহযোগী বলে পরিচিত শফিক আলি ওরফে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।পুলিস জানিয়েছে, ৪ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে।