বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > দত্তপুকুরের অকুস্থলে পৌঁছল এনআইএ টিম, অভিযুক্ত আইএসএফের নেতা পলাতক

দত্তপুকুরের অকুস্থলে পৌঁছল এনআইএ টিম, অভিযুক্ত আইএসএফের নেতা পলাতক

এনআইএ’‌র গোয়েন্দারা।

এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আজ জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আগামীকাল শুনানি। ইতিমধ্যেই সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনআইএ টিম। তবে আইএসএফের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এখনও এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।

দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ২৭ ঘণ্টা পর বেআইনি বাজি কারখানার ঘটনাস্থলে পৌঁছল এনআইএ’‌র গোয়েন্দারা। আজ, সোমবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। আর কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। এই ঘটনার পর চারজনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে তিনজন মৃত হলেও একজন আইএসএফের ব্লক পর্যায়ের নেতা বলে দাবি পুলিশের। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। কারণ ওই আইএসএফ নেতা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ, সোমবার দত্তপুকুরের ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।

এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের লেখা চিঠির উপর ভিত্তি করেই দত্তপুকুর বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহকে চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার পর থেকেই বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ এক জোটে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলতে থাকেন। এমনকী এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আজ জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আগামীকাল শুনানি। ইতিমধ্যেই সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনআইএ টিম। তবে আইএসএফের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এখনও এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।

অন্যদিকে আইএসএফ নেতা পলাতক কেন?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নেতা বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এফআইআরে চারজনের নাম আছে। তাঁদের মধ্যে কেরামত আলি, রবিউল আলি, সামসুল আলি মারা গিয়েছে। শফিক আলি বলে একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আরও একজন রমজান আলিকে আমরা খুঁজছি। তিনি আইএসএফের ব্লক পর্যায়ের নেতা।’ আজ, সোমবার সকালেই রাজ্য পুলিশের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে।

আরও পড়ুন:‌ ছাত্র সংসদের নির্বাচন কবে?‌ পুলিশকে একগুচ্ছ কড়া নির্দেশ দিয়ে জানালেন মমতা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অনেকক্ষণ সময় ধরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিস্ফোরণস্থলে ছিলেন। রবিবার বিস্ফোরণের পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আজ, সোমবার নতুন করে ফরেনসিক বিভাগের অফিসাররা বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। কী ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য বাজি কারখানায় মজুত ছিল?‌ সেটা খতিয়ে দেখেন এনআইএ ও ফরেনসিক অফিসাররা। তবে পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‌অন্য জেলা থেকে যারা বাজি তৈরির কাজের জন্য আসত তারা রমজানের বাড়িতেই থাকত।’‌ আর এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাজি বানানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’‌ তবে মুখ্যমন্ত্রী আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে বলেন, ‘‌সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম আয় হবে। কিন্তু জীবনটা বাঁচবে।’‌

বন্ধ করুন