পাড়ায় পাড়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি করছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেটাও আবার ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ারে। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী এই অভিযোগ তুলেছিলেন। যার ভিত্তিতে একজন বিজেপি কর্মীকে আটকও করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি দলের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নন। তবে দলের জেলা নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলে দলের একাংশের মতে সরকারি নিয়ম না জেনেই করে ফেলেছিলাম। কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে বিজেপি বিরুদ্ধে? আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২, ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই ধরনের ফর্ম বিলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপির নেতা কর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে এই ফর্ম দিয়ে এসেছেন বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা আচমকা এই ফর্ম বিলির উদ্যোগ নিলেন কেন?
তৃণমূলের অভিযোগ, সামনেই পুরভোটের সম্ভাবনা। তার আগে এলাকায় জনভিত্তি তৈরির জন্য বিজেপি রাজ্যের প্রকল্পকে হাতিয়ার করতে চেয়েছিল। কিন্তু পদ্ধতি না জানার জন্য সব ছক ভেস্তে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এর সঙ্গে জড়িত। এর আগেও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের অফিস থেকে ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলা করা হয়েছিল। তবে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার দাবি, ‘সরকারি নির্দেশের কথা না জেনেই ইন্টারনেট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে বিলি করেছিলাম। তবে নিয়ম জানার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি জয়ন্ত রায় বলেন. ‘পুরো মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপির কেউ সঙ্গে জড়িত নয়।’