সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের বাড়িতে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ও তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে দলীয় প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি। সঙ্গে শুভে, দাবন্দুবাবুর দাবি, শাহজাহানের ডেরায় অস্ত্র মজুত করতে পুলিশেরও ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বইতে পারে ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন, জেনে নিন সন্দেশখালির রোবটের যাবতীয় ফিচার
পড়তে থাকুন: সন্দেশখালিতে TMC নেতার বাড়িতে মিলল বিপুল বিস্ফোরক, নিষ্ক্রিয় করতে পৌঁছল NSG
মমতার গ্রেফতারি চান শুভেন্দু
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জির গ্রেফতারি দাবি করছি। মমতা ব্যানার্জি ৫৪ দিন ধরে শাহজাহানকে লুকিয়ে রেখেছিল। বসিরহাটের SP মেহেদি হাসান, ADG সুপ্রতীম সরকার ও SDPOর গ্রেফতারি দাবি করছি। এই দেশবিরোধী শক্তির সমস্ত অস্ত্র বিদেশি। RDXএর মতো বিস্ফোরক, যেটা ভয়ঙ্কর কাজে ব্যবহৃত হয়, হিজবুল মুজাহিদিন ও ISISএর মতো জঙ্গিরা ব্যবহার করে। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণার দাবি করছি। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সিমি বা PFIএর কোনও তফাৎ নেই। আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্য জতুগৃহ। আমডাঙা, এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণে ট্রেলর দেখেছিলেন, আজ সন্দেশখালিতে গোটা সিনেমাটা দেখা গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য একা দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা করছে’।
এর পরই পুলিশকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ নিজে যুক্ত। পুলিশ সামনে পিছনে গাড়ি দিয়ে তৃণমূলের অস্ত্র, তৃণমূলের টাকা পাচার করে। গতকালই পুরুল্যার SPর কাছে ২ কোটি টাকা এসেছে জঙ্গলমহলে খরচ করার জন্য। পুলিশ আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও ফারাক নেই’।
আরও পড়ুন: প্রার্থীপদ বাতিল হতেই ছুটলেন আদালতে, কিন্তু সুরাহা পেলেন না দেবাশিস ধর
সন্দেশখালিতে সিবিআই তল্লাশি
শুক্রবার সরবেড়িয়ায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আবু তায়েব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে সিবিআই। পরে এক বিবৃতিতে সিবিআই জানায়, ‘শুক্রবার সন্দেশখালিতে ২টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় তারা। সেখানে তিন দিকে ভেড়ি দিয়ে ঘেরা একটি পাকা বাড়ির মেঝে খুড়ে বিভিন্ন মাপের ৭টি রিভলভার পেয়েছে তারা। তার মধ্যে ৩টি রিভলভার ও পিস্তল বিদেশি। এর মধ্যে একটি এমন পিস্তল রয়েছে যেটি পুলিশ ব্যবহার করে। এছাড়া রয়েছে একটি দেশি রিভলভার। বিভিন্ন মাপের প্রায় ৩৫০ কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে সেখানে।