ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা নদিয়ায়। গতরাতে এক যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির সংঘর্ষ ঘটে তেহট্টের ইসলামপুর এলাকায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এর মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করে গতকাল রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে আহতদের ভরতি করা হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দু'জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিকে জানা গিয়েছে, বাসের সঙ্গে যে গাড়িটির ধাক্কা লেগেছে সেটি ধর্মতলার একুশের সমাবেশ থেকে ফিরছিল। অপরদিকে বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসটি ডোমকল থেকে দিঘার উদ্দেশে যাচ্ছিল। গতরাতে ইসলামপুরের কাছে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের জেরে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়িটি পথের ধারে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ১৬ জন। এদের মধ্যে একজন বাসযাত্রী ও একুশের সমাবেশ ফেরত গাড়ির চালককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, একুশের সমাবেশ থেকে যে গাড়িটি ফিরছিল তাতে ৬ জন ছিলেন। গাড়িটি করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর এলাকার বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে গতকালই একুশের সমাবেশ থেকে ফেরার সময় বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পুরুলিয়ার এক তৃণমূল সমর্থকের। মৃত যুবকের নাম বিকাশ টুডু। এলাকার বাকি তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গেই বাসে করে ধর্মতলা গিয়েছিলেন বিকাশ। ফিরছিলেনও সেই একই বাসে। তবে ফেরার পথে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নজুলিতে পড়ে যায়। খড়গপুরের রূপনারায়নপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বাসটি। এদিকে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু। জানা গিয়েছে, বাসে মোট ৫৮ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাদের সবাইকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান যাচ্ছিল ওই বাসটি। বাসে থাকা সব তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বান্দোয়ানেরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।