কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অচলাবস্থা কাটে বিশ্বভারতীর। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর মেলার মাঠে ফেন্সিং ও পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এই কাজে হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এদিনই জরুরী ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের এদিন স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমরা গুলি খেলেও বিক্ষুব্ধ জনতাকে আদালতের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে দেব না। কারণ, আমাদের কর্তব্য আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা।’
রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানায়, স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষের জেরে বিশ্বভারতীতে পাঁচিল দেওয়ার কাজ ঠিকঠাকভাবে করা যাচ্ছে না। জনতাকে সামাল দেওয়াও যাচ্ছে না। এই কারণেই স্থগিতাদেশের দাবি জানানো হয়েছে। এ কথা শুনে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা কখনওই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশের দায়িত্ব আইন–শৃঙ্খলা রক্ষা করা। সেই কাজ যদি পুলিশের দ্বারা সম্ভব না হয় তা হলে আদালতকেই তা করতে হবে।’
ওদিকে, ২০১৭ সালে বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলা বন্ধের নির্দেশ দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। সে ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে তা ঠিক। তবে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার অধিকার হাইকোর্টেরও রয়েছে। পৌষমেলার সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা ও শান্তিনিকেতনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে।