শুভব্রত মুখার্জি: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটের ভোলবদল ঘটেছে। একেবারে খোলনলচে বদলে গিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারও। এই প্রযুক্তির ব্যবহার এবার করা হচ্ছে পরিকাঠামোতেও। পরিকাঠামোতে প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে নেই ভারতও। এবার ভারতীয় ক্রিকেটে বসানো হল প্রথম হাইব্রিড পিচ। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ঘরের মাঠ ধর্মশালাতে বসানো হয়েছে এই হাইব্রিড পিচ। যার উপর থেকে অফিসিয়ালি পর্দা সরেছে এই সোমবার। এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ হয়েছে ভারতের প্রথম হাইব্রিড পিচের।
যে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে উপস্থিত হয়েছিলেন আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল। উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট সহ বিভিন্ন ক্রীড়ার জগতের উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াবিদরা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার পল টেলর। যিনি এই মুহূর্তে এসআইএসের আন্তর্জাতিক ডিরেক্টরের পদ সামলাচ্ছেন। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল আবার হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছন, ‘ভারতবর্ষে হাইব্রিড পিচের আত্মপ্রকাশ ঘটল। এই পিচের হাত ধরে ভারতবর্ষের ক্রিকেটে নবজাগরণের সূচনা হল। ইংল্যান্ডের অত্যন্ত জনপ্রিয় ভেন্যু লর্ডস এবং দ্য ওভালে এই পিচ বসানো রয়েছে। সেখানে এই পিচ যে সাফল্য পেয়েছে। আমরা নিশ্চিত, ভারতেও সেই সাফল্য পাবে।’
হাইব্রিড পিচের যে 'সারফেস' অর্থাৎ উপরের অংশ সেখানে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘাস। যার সঙ্গে মিশ্রণ রয়েছে সিন্থেটিক ফাইবারের। ফলে এই পিচ দীর্ঘদিন টেকে। নিয়মিত এই পিচে খেলা যায়। ফলে মাঠকর্মীদের উপর চাপ কম পড়ে। খুব ভালো প্লেয়িং কন্ডিশন সব সময়ে রাখা সম্ভব হয়। এই পিচে সাধারণত ৫ শতাংশ সিন্থেটিক ফাইবার থাকে। ফলে এই পিচের যে প্রাকৃতিক বিষয় তা সব সময়ে বজায় থাকে। প্রাক্তন ইংরেজ ক্রিকেটার পল টেলর তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই পিচ ধর্মশালাতে বসানোর কারণে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে। আইসিসির অনুমোদন পাওয়া এই পিচ খেলার উপর যে পজিটিভ প্রভাব ফেলবে, তা আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি মুম্বই এবং আমদাবাদেও এই ধরনের পিচ বসানোর পরিকল্পনার কথা তিনি জানিয়েছেন।