মেয়াদ শেষ হওয়ার বেশ কয়েক মাস আগেই রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদে বসানো হয় দিলীপ ঘোষকে। এর আগে মুকুল রায় এই পদে ছিলেন। নয়া পদে ঠিক কী কাজ করবেন দিলীপ ঘোষ? তাঁর দায়িত্ব কী হবে? এই বিষয়ে কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে এবার দিলীপবাবু বলেন, 'আমি সব সময় আছি।' এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যেভাবে আমাকে কাজে লাগাবে, আমি আমি থাকব। একইভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সেইভাবে কাজ করব।'
পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এদিন জানান, এবার থেকে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে বেশী সময় দিতে চান তিনি। তিনি জানান, রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন দলের কাজে গোটা রাজ্য ঘুরে বেরাতে হত তাঁকে। এই কারণে মেদিনীপুরে বেশি সময় দিতে পারতেন না। তবে এখন বেশি করে সময় দেবেন সেখানে। সাম্প্রতিক বন্যায় সেখানে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান দিলীপ ঘোষ। সদ্য প্রাক্তন হওয়া দিলীপ বলেন, ‘তিনি বলেন, ‘আপাতত কয়েকদিন থাকছি না। তবে শেষ দু তিন দিন ভবানীপুরের প্রচারে থাকব।’
এর আগে সুকান্ত মজুমদারের হাতে পদ্ম তুলে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন এবং উত্তরবঙ্গ থেকে এবার আমাদের রাজ্য সভাপতি হলেন। এঁদের মিলিত প্রয়াসের সঙ্গে আমার সব সময় আছি। নতুন পর্যায় শুরু করল বিজেপি। হিংসার বিরুদ্ধে পার্টিকে দাঁড় করানোর জন্য আমার যোগ্যতা-ক্ষমতা অনুযায়ী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে লড়েছি। একজন যুবককে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যে পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে সুকান্তর নেতৃত্বে লড়াই করব। দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, মার্জিত। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনি সফল হবেন। ইতিহাসে নাম লিখবেন। পুরানো কর্মীরা পার্টির নতুন নেতাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবেন।'