ফেসবুক পোস্টে নাম করে পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণাত্মক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা কয়েকদিন ধরেই বেসুরো বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার একই পথে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবার তিনি বলেন, মানুষের কাজ করতে গেলে যদি পথ পরিবর্তন করতে হয় তবে সেই পথ পরিবর্তন করতে তিনি রাজি। এর পরই তাঁকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন উদয়ন গুহ।
শুক্রবার পুরোহিতদের একটি সভায় যোগ দিয়ে এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব। তিনি রামকৃষ্ণের বাণী আউরে বলেন, ‘ঠাকুরের কথায়, যত মত, তত পথ। যত মত থাকবে, পথও ভিন্ন ভিন্ন হবে। যদি কোথাও মনে হয়, মানুষের কাজ করার জন্য এই মতে অসুবিধা হচ্ছে, তবে অনেক পথ খোলা আছে। সেই পথ থেকে কেউ কাউকে সরাতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।’
রামকৃষ্ণদেবের সেই একই কথার সূত্র ধরে শুক্রবার রাতেই ফেসবুকে পাল্টা দিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হয় জলে (সেচ) অথবা জঙ্গলে (বন) না হলে পদ্মফুলে, যত মত তত পথ’। নাম না নিলেও উদয়নবাবুর কটাক্ষে স্পষ্ট যে এই ইঙ্গিত একেবারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। কারণ, বর্তমানে বনমন্ত্রী রাজীব আগে সেচ দফতর সামলাতেন। আর এই দুটি দফতরের কথাই উল্লেখ রয়েছে উদয়ন গুহর ফেসবুক পোস্টে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে একদিকে যেমন জল্পনা তৈরি হয়েছে। তেমনই উদয়ন গুহর বক্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে, এর পাশাপাশি কারও নাম না করে শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমি দেখছি কিছু মন্ত্রী উচ্চাকাঙ্খী আর লোভী। তাঁরা হাতে সব ক্ষমতা চান। কীভাবে অন্যকে বিভ্রান্ত করা যায় তা তাঁরা জানেন।’ এ ক্ষেত্রেও যে ইঙ্গিতটি বেসুরো গাওয়া রাজীব ও শুভেন্দুর দিকে তা একেবারেই স্পষ্ট। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূল সাংসদ।