মঙ্গলকোটের কুনুর ব্রিজে। অন্য়ান্য রাতের মতোই সোমবারও নাকা চেকিং চালাচ্ছিলেন মঙ্গলকোট থানার পুলিশ বাহিনী। মঙ্গলকোট থানার এসআই সামাউর রহমান ও দুই কনস্টেবল নাকা চেকিংয়ে বিভিন্ন গাড়ি দাঁড় করিয়ে নজরদারি চালাচ্ছিলেন। আচমকাই একটি অল্টো গাড়ি সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির সামনে লাল দিয়ে ডক্টর লেখা। এদিকে পুলিশ নিয়ম মেনে ওই গাড়িতেও চেকিং করে। গাড়ির পেছনটা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। গাড়ির ভেতর থরে থরে চোলাই মদ সাজানো রয়েছে। এদিকে ডাক্তার লেখা গাড়িতে চোলাই মদ পাচারের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে ওই গাড়ির ভেতর দুজন ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, একজনের নাম অমল হালদার। বাড়ি মঙ্গলকোটের সুরুলিয়া গ্রামে। অপরজন সাধন মন্ডল, বাড়ি ভাতারের বসতপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাধারণত ডক্টর লেখা গাড়ি পুলিশ ভালো ভাবে পরীক্ষা করে দেখবে না। এমনটাই হয়তো মনে করেছিল অভিযুক্তরা। সেকারণেই গাড়ির সামনের ও পেছনের কাঁচে ডক্টর লিখে তাতে চোলাই পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই তারা এই কীর্তি করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই গাড়ি থেকে ৬০ লিটার চোলাই মদ বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে ওই গাড়িতে থাকা চোলাই মদ গুসকরা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল যাবতীয় ছক।