আবাসনে আশ্রয় নেওয়ার মতো ‘অপরাধ’ করে ফেলেছিল। সেই ‘অপরাধ’-র জন্য দড়ি ও তার দিয়ে মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে একাধিক কুকুরকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। যাতে নৃশংস কাণ্ডের কোনও প্রমাণ না থাকে, সেজন্য ঘটনার সময় আবাসনের সব সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। ওই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শালিমারের তিন নম্বর গেটের রবীন্দ্রনগর আবাসনে। ইতিমধ্যে বোটানিক্যাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত রবিবার দুপুরে কুকুরগুলিকে হত্যা করা হয়। তবে সোমবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপরই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার দুপুরে চার-পাঁচজন ব্যক্তি কুকুরদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। আবাসনের এক ব্যক্তির অঙ্গুলিহেলনে সেই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন।
তাঁদের সামনেই তার দিয়ে তিনটি কুকুরের মুখ বাঁধা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ওই দৃশ্য দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু ‘হত্যাকারীদের’ সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাঁরা কিছু বলতে পারেননি। সেই পরিস্থিতিতে প্রমাণ লোপাট করতে ছোট গাড়িতে করে কুকুরদের দেহ ঘুরে ফেলে আসা হয় বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে সেই পরিস্থিতিতে তাঁরা কেন বাকিদের ডাকেননি, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: Stray dogs chase a lion: কুকুরের তাড়ায় ভিজে বিড়াল হয়ে গেল সিংহ! পালাল ছুটে, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
ওই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কুকুরদের দেহ কোথায় ফেলা হয়েছে, তা রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত খুঁজতে থাকেন। পরদিন সকালে আলমপুরের কাছে জাতীয় সড়কের একটি ঝোপের মধ্যে থেকে একটি কুকুরের দেহ উদ্ধার করা হয়। সেটির মুখ বাঁধা ছিল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তারইমধ্যে অভিযোগ উঠেছে যে ওই নৃশংস ঘটনার সময় আবাসনের সব সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রবিবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। কিন্তু কার অনুমতিতে সেই কাজটা করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে আবাসনের অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ললিত টামপুরিয়া জানান, ভয়ংকর অপরাধ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)