ডোমকলে তৃণমূল নেতা প্রদীপ চাকির ওপর হামলার ঘটনায় দলেরই ২ নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে ওই ঘটনার পর দলের একাধিক নেতা - কর্মীর বিরুদ্ধে ডোমকল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতার ছেলে। এর পরই তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি ১১ নম্বর ওয়ার্ড মকবুল শেখ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার রফিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি ঋজু পাল পলাতক।
রবিবারের ওই ঘটনার পর সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বেডে শুয়ে প্রদীপবাবু বলেন, ‘বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম ও ডোমকলের আইসি মিলে গরুপাচার করে। জাফিকুলের ভাই আর আইসি মিলে ফেন্সিডিল পাচার করে বাংলাদেশে। আমি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সত্যি কথা বলে দেওয়ায় আমার ওপর হামলা হয়েছে। হামলা চালিয়েছে আইসি ও বিধায়ক।’
ওদিকে তৃণমূল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় দলেরই নেতার গ্রেফতারিতে অস্বস্তিতে পড়েছে দলীয় নেতৃত্ব। মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম।
ডোমকলের রাজনীতিতে জাফিকুল ও প্রদীপ চাকির বিবাদ বেশি পুরনো নয়। এলাকা দখল হাতে রাখতে জাফিকুলকে এক সময় সামনে এনেছিলেন প্রদীপ চাকিই। কিন্তু প্রদীপবাবুকে পেরিয়ে বিধানসভায় টিকিট পেয়ে যান তিনি। পুরসভার প্রশাসক নিযুক্ত হন। এর পরই শুরু হয় বিবাদ।