চিনপাই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর।
এবার আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বীরভূমের চিনপাই গ্রামঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসনের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে তালিকায় রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য এমনকী সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিজনদের নাম।
বিজেপির দাবি, তালিকায় নাম রয়েছে নবনীতা ঘোষের। তিনি দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলি সদস্য। বাড়িতে রয়েছে মোটরসাইকেল, স্কুটার ও কালার টিভি। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। নাম রয়েছে চিনপাই পঞ্চায়েতের তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলি সদস্য মিতা ঘোষের। তাঁর বাড়িতেও রয়েছে মোটরসাইকেল ও কালার টিভি। তালিকায় নাম রয়েছে রূপা দাসের। তিনি চিনপাই অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তুলসি দাসের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। নাম রয়েছে তৃণমূলকর্মী নারায়ণ দাসের। তিনি আবার এলাকায় ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার। তালিকায় নাম দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মী শঙ্কু মুখোপাধ্যায়ের। এলাকায় তাঁর বালি, সিমেন্টের কারবার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে যতীন্দ্রলাল মজুমদারের। যিনি তৃণমূল নেতা নিতাই চক্রবর্তীর শ্বশুর। যতীন্দ্রলালবাবুর মেয়ে রাজ্য সরকারি চাকরি করেন। নাম রয়েছে নিতাইবাবুর বাবা শুকদেব চক্রবর্তীরও। এছাড়া সদাইপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত গড়াইয়ের নাম রয়েছে এলাকায়। তাঁর আবার মোবাইল ফোন মেরামতির দোকানও রয়েছে। নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা তথা বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মী সঞ্জিত পাতরের।
বিজেপির দাবি, রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো দুবরাজপুরেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে যথেষ্ট স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। যার জেরে তালিকায় একাধিক তৃণমূল নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠদের নাম। অবিলম্বে অযোগ্যদের নাম বাতিল করে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছে তারা।