মে মাসের মাঝামাঝিতে এখনও বাজারে সেভাবে আমের দেখা নেই। মূলত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এ বছর আমের ফলন প্রায় অর্ধেক হয়েছে। ঘূর্ণীঝড় থেকে শুরু করে তাপপ্রবাহ, শিলা বৃষ্টির কারণে এ বছর প্রচুর পরিমাণে আম নষ্ট হয়েছে। যার ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন আম চাষিরা। এই অবস্থায় বাজারে আমের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমচাষীদের বক্তব্য, আমে প্রচুর মুকুল এসেছিল। গুটিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাপপ্রবাহ, কালবৈশাখী ও শিলা বৃষ্টির কারণে কাঁচা অবস্থায় প্রচুর আম ঝরে গিয়েছে। ফলে চাষিরা যেভাবে আশা করেছিলেন এবার সেরকম আমের ফলন হচ্ছে না। এক চাষির কথায়, ‘আমি ২০১৩ সাল থেকে আম চাষ করছি। এবার গাছে ভালোই মুকুল এসেছিল। কিন্তু, পরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মুকুল, কাঁচা আম ঝরে গিয়েছে।’ এখন এই অবস্থায় আম চাষের খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আম চাষিরা। সাধারণত রাজ্যের মধ্যে মালদা জেলায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আম উৎপাদন হয়। সেখানে প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয় প্রতিবছর। তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আম শুধুমাত্র মালদা থেকে উৎপাদন হয়। কিন্তু এ বছর তা কমে অর্ধেক হয়েছে বলে জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
একইসঙ্গে মালদহের আম যে বাজারে সহজলভ্য হবে না এবং তার দাম যে আকাশছোঁয়া হবে সেই আশঙ্কা করছে দফতর। এ বছর আমের যা ফলন তাতে ক্ষতির আশঙ্কায় ইতিমধ্যে আমের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আম চাষিরা। মালদহ আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উজ্জল সাহা জানিয়েছেন, আমের দাম যদি না পারে তাহলে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিকরা আলোচনা করছেন।