দুর্গাপুরের মুচিপাড়া বাজারে ভয়াবহ আগুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে বাজারের মোবাইলের দোকানের ভেতর থেকে আচমকা আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। বাসিন্দাদের দাবি, বাজারের পরপর দোকান রয়েছে। আর একটু দেরি হয়ে গেলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারত।
সূত্রের খবর, বাজারের দোতলায় আগুন ধরে যায়। টিনের চালার দোকান থেকে দাউ দাউ করে আগুনের শিখা বের হতে থাকে। এদিকে নীচেও একাধিক দোকান রয়েছে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত। তবে দমকল অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রথমে দেখলাম অল্প ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপর দোকানের সাটার খুলতেই দেখা যায় দাউ দাউ করে আগুন বেরিয়ে আসছে। মোবাইলের দোকানে কীভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না। তবে অনেকে বলছেন সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল।
অপর এক মহিলা প্রভাতী মণ্ডল জানিয়েছেন, নীচেই আমাদের দোকান রয়েছে। কীভাবে সর্ট সার্কিট হয়েছে বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা বলেন, দুপুরে হঠাৎ করে দেখলাম ধোঁয়া বের হচ্ছে। লাফ দিয়ে বেরিয়ে আসি। মার্কেটে একাধিক দোকান রয়েছে। কিন্তু কীভাবে এত বড় সর্বনাশ হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রচুর মানুষ ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পাশাপাশি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে দমকলের কর্মীরা দোতলায় উঠে পড়েন। এরপর আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান তারা। বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে আগুনের জেরে প্রচুর মোবাইল পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। দোকানের আসবাবপত্র, অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্রও সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গৌতম চন্দ্র দে, স্টেশন অফিসার দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন জানিয়েছেন, এখানে ল্যাপটপ, মোবাইল মেরামতি করা হত। কীভাবে আগুন লাগল তা দেখা হচ্ছে। সর্ট সার্কিট থেকেও হতে পারে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি দোকানে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেটাও দেখা হয়েছে।