দ্রুতগতিতে ডানকুনিতে ঢুকে পড়ল দুরন্ত এক্সপ্রেস, ধাক্কায় মৃত্যু রেল কর্তার

স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল ডাউন দুরন্ত এক্সপ্রেস, ধাক্কায় মৃত্যু রেল আধিকারিকের (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল ডাউন দুরন্ত এক্সপ্রেস। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল রেল আধিকারিকের। ডানকুনি স্টেশনে ডাউন দুরন্ত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ওই আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ডনকুনি স্টেশন চত্ত্বরে। রেললাইনের ওপর দিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেলপুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন রেলের অন্যান্য কর্মীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান।

রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ারের নাম মহীতোষ বিশ্বাস। তিনি লিলুয়ার বাসিন্দা। এদিন ডানকুনি স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের ট্র‌্যাকে নেমে লাইনের তদারকির কাজ করছিলেন ওই স্টেশনের সিনিয়র সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার।

জানা গিয়েছে, সেই সময় হঠাৎ ডাউন লাইনে দুরন্ত এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে। ট্র‌্যাক থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরার সুযোগ পাননি মহীতোষবাবু। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন লাইনের উপরেই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন রেলের অন্যান্য কর্মীরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান। খবর দেওয়া হয় রেলপুলিশকেও। পুলিশ এসে ট্র‌্যাকের উপর পড়ে থাকা মহীতোষবাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

মৃত ওই রেল আধিকারিকের ছেলে সৈকত বিশ্বাস বলেন, ‘‌ রেল লাইনে নেমে কাজের তদারকি করতে হত বাবাকে। অনেকদিন ধরে ছুটি পাননি তিনি। এমনকী, রবিবারেও কোনও ছুটি ছিল না তাঁর। কাজে যেতে হত বাবাকে।’‌ তাঁর অভিযোগ, কাজের জন্য বাবাকে অফিস থেকে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হত। এই নিয়ে বাবার মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল। তবে মহীতোষবাবু আত্মঘাতী হননি বলেই মত তাঁর পরিবারের।