২০২০ সালে যে মহামারি সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছিল, সেই মহামারী কোভিড এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বর্তমান। চিনের হাত ধরে যে ভাইরাস ছড়িয়ে ছিল সারা দেশে, তার ফল যে কতটা ভয়ানক, তা গত চার বছরে বেশ ভালই টের পেয়েছে বিশ্ববাসী।
মহামারীর নতুন রূপ ছড়িয়ে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে দুটি নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট KP.2 ও KP 1.1। এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের JN.1 সাব ভ্যারিয়েন্টকেও ছাড়িয়ে গেছে। চিকিৎসকদের মতে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি আগের ভ্যারিয়েন্ট গুলির অনেক বেশি সংক্রামক। লক্ষণ গুলি কমবেশি একই থাকবে। KP 1.1 কম সংক্রামক KP.2 এর থেকে। তবে এই ভ্যারিয়েন্টগুলি শরীরে প্রবেশ করলে তা বাড়িতেs নিরাময় হয়ে যাবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হবে না।
(আরো পড়ুন: বাথরুমে টুথব্রাশ রাখছেন? জানেন কী ক্ষতি করছেন)
FLiRT কী?
এই নামটি রাখা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে। এটি কোভিড ভ্যারিয়েন্টের একটি অন্যতম গ্রুপ। এটি Omicron JN.1 বংশের। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রায় ২৫ শতাংশ নতুন কেস উঠে এসেছে সামনে। Covid - এর এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট - এ সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গায়ে ব্যথা, জ্বর, স্বাদ এবং গন্ধ না থাকার মত উপসর্গ দেখা দেয়।
ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কতটা সম্ভাবনা রয়েছে
চিকিৎসকদের মতে, Covid - এর এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই প্রত্যেক ভারতবাসীর ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেছে। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাদের একটু সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
(আরো পড়ুন:ব্যথার চিকিৎসায় ইন্টারভেনশনাল পেন ম্যানেজমেন্ট কতটা জরুরি? কী বলছেন চিকিৎসকরা)
কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে
খুব সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই রক্ষা পাওয়া যাবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মাক্স ব্যবহার করে এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া শিশু এবং বয়স্কদের ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ রাখতে হবে। যাদের ডায়াবিটিস অথবা অন্য কোনও রোগ রয়েছে, অথবা যাদের ইমিউনিটি ক্ষমতা অনেকটা কম, তাদের অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে কারণ কোভিডের এই নতুন রূপ অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কম দৃশ্যমান।