রানিনগর, জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ি রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর বিষয়টি এবার খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করলেন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আজ, শুক্রবার সকালে রানিনগর এবং জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি। ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ি রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে অবশ্যই সব ঠিকঠাক থাকলে। ইতিমধ্যেই এই লাইনের বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হয়েছে। সুতরাং দ্রুত ট্রেন চালু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ, শুক্রবার এই প্রকল্পের ক্লিয়ারেন্স ইনস্পেকশন করেন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রভিলেশ কুমার এবং ডিআরএম কাঠিহার সুরেন্দ্র কুমার–সহ রেল দফতরের সিনিয়র অফিসাররা। এনজেপি থেকে রানিনগর, জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ি রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালু হলে বিপুল মানুষের উপকার হবে। এই দাবি অবশ্য বহু আগেই উঠেছিল। তখন তলিয়ে ভাবা হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হলে সবদিক খতিয়ে দেখা হয়। তারপর শুরু হয় কাজ। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ট্রেনের চাকা গড়াতেই পারে এই লাইনে।
এদিকে রেল দফতরের একাধিক অফিসার আজ বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু করেন। যেহেতু এই রুটের বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেহেতু ট্রেনের চাকা গড়ানো নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে ট্রেনের চাকা গড়ানোর পরিস্থিতি রয়েছে। তাহলে কি নতুন বছরে ইলেকট্রিক ট্রেন ছুটবে? তবে এবার পরিদর্শন শেষে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রভিলেশ কুমার বলেন, ‘বৈদ্যুতিক রেল লাইনের কাজ দেখতে এসেছি। ছোটখাটো কিছু কাজ ঠিক করতে হবে। তারপর খুব দ্রুতই এই লাইনে ইলেকট্রিক ট্রেন ছুটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাকি কাজ মিটিয়ে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ডান কাঁধে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে, রুটিন চেকআপেই ধরা পড়ল চোট
অন্যদিকে এই ইলেকট্রিক ট্রেনের বিষয়ে বড় আশ্বাস দেন ডিআরএম কাঠিহার সুরেন্দ্র কুমার। তিনি আজ জানান, এখন তো হলদিবাড়ি–রানিনগর রুটের বৈদ্যুতিকরণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। তাই সব দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর বিষয়টি নিয়ে রানিনগর, জলপাইগুড়ি স্টেশন, হলদিবাড়ি–সহ একাধিক স্টেশন এলাকার বৈদ্যুতিক লাইন পরিদর্শন করা হয়েছে। তাতে রিপোর্ট সন্তোষজনক। আগামী একসপ্তাহের মধ্যে এই লাইনে বৈদ্যুতিক ট্রেন চলবে। বর্ষবরণের আগেই এই খবর খুশির জোয়ার নিয়ে এসেছে যাত্রীদের মনে।