টানা ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রেখেও বিরাট কোনও তথ্য বের করতে পারেনি সিবিআই। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে নানাভাবে জেরা করেছে সিবিআই। কিন্তু তারপরও খুব যুৎসই তথ্য বের করতে পারেনি সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআই হেফাজত থেকে বেরিয়ে জেল হেফাজতে গিয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট। কিন্তু তেমন কিছু না বেরনোয় তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা তিহাড় জেল হতে পারে।
কেন এমন ভাবছে সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, এই গরু পাচার মামলায় এমন কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে যেথানে আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে। তাছাড়া গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গিয়ে জমা হয়েছে, সেটা সিবিআই জানতে চায়। আর সেটার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডিকে। বীরভূম জেলা থেকেই গরু পাচারের বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। তাই নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার ভাবনা শুরু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি। আর তাদের আবেদন মঞ্জুর হলে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নয়াদিল্লি যেতে পারেন তদন্তকারীরা। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনকেও নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে চায় তারা। কিছুদিন আগে গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে নয়াদিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল ইডি। সেখানেই এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এনামুল এখন আছেন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে। তাই অনুব্রতকেও নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী পরিকল্পনা ইডি’র? ইডি সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের কাছ থেকে নথি নিয়ে আর্থিক বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। সেক্ষেত্রে অনুব্রত এবং সায়গালকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে। রাখা হবে তিহাড় জেলে। তবে এটা তখনই সম্ভব যদি আদালত অনুমতি দেয়। এই গরু পাচার মামলার তদন্তে অনেকের জড়িয়ে রয়েছেন। যদিও এই নিয়ে গতকাল প্রশ্ন করা হলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, ‘এরকম নিয়ম আছে নাকি? বললেই হয়ে যাবে!’