মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের আরও এক রাজনীতিবিদের ডি-লিট প্রাপ্তি। এবার ডিলিট পেলেন প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ। ‘ভারতে সাম্যবাদ ও গৌতম বুদ্ধ’ বিষয়ে কর্নাটকের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট পেয়েছেন তিনি।
এক কালে তাঁর নামে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাঘে - গরুতে এক ঘাটে জল খেত। হলদিয়ায় ব্যক্তিগত মালিকানায় একাধিক স্কুল ও কলেজ তৈরি করেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তমলুকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা সেই লক্ষ্মণ শেঠকে রাজ্যে বামেদের বিপর্যয়ের অন্যতম ভিলেন হিসাবে চিহ্নিত করেন অনেকে। নন্দীগ্রাম আন্দোলন তাঁর ব্যর্থতাতেই মাথাচাড়া দিয়েছিল, এমনটা মনে করেন বহু সিপিআইএম নেতা।
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কার্যত নিভৃতবাসে চলে যান তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে শুরু হয় তৃণমূলের তাণ্ডব। মাঝে সিপিআইএম ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুবিধা করে উঠতে পারেননি। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনাও শুরু হয়েছিল। তাও বাস্তবায়িত হয়নি শেষ পর্যন্ত।
সেই লক্ষ্মণ শেঠ এবার পেলেন সাম্মানিক ‘ডি-লিট’ খেতাব। ‘ভারতে সাম্যবাদ ও গৌতম বুদ্ধ’ বিষয়ে তাঁর গবেষণার জন্য ডিলিট দিয়েছে কর্নাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়। ৭৩ বছর বয়সে এই সম্মান পেলেন লক্ষ্মণবাবু। হলদিয়া এসে তাঁর হাতে সম্মান তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।