সোনারপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় রহস্য উদঘাটন হতেই হতবাক পুলিশ। তদন্তে জানা গেল আসলে সোনার দোকানে কোনও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। পুরোটাই সাজানো। ধার দেনায় ডুবেছিলেন মালিক। সেই কারণে তিনি বিমার টাকা পেতে ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিলেন। ঘটনাটি সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুর বাজার এলাকার একটি সোনার দোকানের। ডাকাতির ঘটনায় তদন্ত নেমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য রহস্য উদঘাটন করে ফেলে মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভরসন্ধ্যায় মালদার সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি, চলল গুলি, রক্তাক্ত কর্মীরা
জানা গিয়েছে, দোকান মালিক অভিযোগ করেছিলেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দোকানে একদল দুষ্কৃতী আসে এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনা লুট করেছে। উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই ওই এলাকায় আরেকটি সোনার দোকানে লুটের ঘটনা ঘটেছিল ফলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর পুলিশ জেলার পদস্থ কর্তারা। তারা তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখতে দোকান মালিক রাজু রায়ের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। তিনি দাবি করেছিলেন, সন্ধ্যায় দোকান খোলার পরে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে আসে এবং মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬৫ গ্রাম সোনা এবং এক কেজির উপর রুপোর গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ঘটিয়ে দেখে পুলিশ। কিন্তু, তা খতিয়ে দেখে অবশ্য অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি পুলিশ। তখন সন্দেহ হয় পুলিশের।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। সে ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, প্রায় এক বছর আগে দোকান মালিক সোনার গহনা তৈরির জন্য এক ক্রেতার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তিনি এখনও সেই গয়না দেননি। একইভাবে আরও বেশ কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারাও সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে জিনিস পাননি। এরপরে ব্যবসায়ীকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন তদন্তকারীরা। অবশেষে পুলিশ জেরার মুখে পড়ে নিজেই অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন দোকান মালিক। তিনি জানান, অনেক ধার বাকি ছিল। বিমার টাকা তোলার জন্যই তিনি এই ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ববাইকভাবেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।