পড়ুয়ারা মুখিয়ে আছে স্কুল খোলার জন্য। আর তার আগেই নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের মতো ঐতিহ্যশালী স্কুলে হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই শিক্ষক। দুই শিক্ষকের এই কাণ্ড এখন নদিয়ার বুকে অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, খোদ প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন ভূগোল শিক্ষক। অভিযোগ এমনটাই। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই দুজনের হাতাহাতি বেঁধে যায়।
স্কুলের ভূগোল শিক্ষক প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র অনেকদিন ধরেই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চাইছিলেন। অথচ সেই কাগজ তিনি পাচ্ছিলেন না বলে তাঁর দাবি। এদিকে এদিন পোস্টার নিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে হাজির হন। এদিকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলছিলেন প্রধান শিক্ষক। তখনও তুমুল হাতাহাতি বেঁধে যায় দুই শিক্ষকের মধ্যে। তবে প্রশ্ন উঠছে যেখানে স্কুলের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই শিক্ষক তবে পড়ুয়াদের কাছে কী বার্তা যাবে?
প্রধান শিক্ষকের পালটা দাবি, আমাকে উনি মারতে এসেছিলেন। আমি প্রতিরোধ করেছি। আমি কাউকে মারিনি। ওনার ক্লার্কের সঙ্গে কী গন্ডগোল হয়েছে আমি জানি না। ক্যামেরার সামনে আমার গায়ে হাত তোলা হয়েছে। পেছন থেকে এসে আমাকে মারা হয়েছে। এদিকে ভূগোল শিক্ষকের দাবি, আমাকে জুতো মারতে চেয়েছে। আমাকে স্য়ালারি স্টেটমেন্ট দিতে হবে। আমি ২৫ বছর চাকরি করছি। প্রধান শিক্ষক কি একমাত্র উনি পশ্চিমবঙ্গে। উনি আমার সামাজিক জীবনটাকে নষ্ট করে দিচ্ছেন।