কেন্দ্রীয় প্রতিশিক্ষামন্ত্রী সুভাষ সরকারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর জের গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। মন্ত্রীকে আটকে রাখার জন্য কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে আভিযোগ দায়ের করেছিলেন দলের বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক সভাপতি। এবার পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে এবং সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেন এক বিজেপি কর্মী।
বাঁকুড়া বিজেপির সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন সুভাষ সরকার। সেই সময় বিজেপি কয়েকজন কর্মী সেখানে চড়াও হন। তারা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মন্ত্রী ঘরে যখন বৈঠক করেছিলেন সেই সময় কিছু লোক ঘরের দরজায় তালা দিয়ে দেন। এরপর জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল দলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি নেতা কৌশিক সিংহ।
কৌশিক সিংহ আবার বাঁকুড়া থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী শানু কুণ্ডুর বিরুদ্ধে। কৌশক সিংহের মূল অভিযোগ কল্যাণী এইমস-সহ একাধিক জায়গায় কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে। জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী শানু কুণ্ডু নিয়োগে জড়িত আছে। তাঁদের মদত দিচ্ছেন মন্ত্রী। এই অভিযোগ করেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কৌশিক। সুনীলরুদ্র মণ্ডল ও শানু কুণ্ডুর বিরুদ্ধে শারীরিক ভাবে হেনস্থার অভিযোগও এনেছেন কৌশিক।
(পড়তে পারেন। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের পুলিশ হেফাজত, আত্মসমর্পণেও লাভ হল না)
তাঁর কথায়, 'পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করুক। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মালমা দেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, কেন আমরা বিক্ষোভ করেছিলাম।' তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুনীলরুদ্র মণ্ডল। তাঁর দাবি, 'সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।'
অন্য দিকে তৃণমূল বলছে, ভোট এগিয়ে আসছে তত ওদের দূর্নীতি সামনে আসছে। জেলার তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা বলেন, 'কর্মীরা বাঁকুড়া জেলার বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতির নামে এফআইআর করেছে। এ খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।'