অগস্ট মাসের শুরুতেই চার দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখা নিয়ে রেশন ডিলারদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে রাজ্যের। রাজ্য সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও রেশন ডিলাররা গত ১ অগস্ট থেকে সমস্ত রেশন দোকান বন্ধ রেখেছেন। এই অবস্থায় রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। যদিও এনিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেশন ডিলাররা। তাদেরও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিলে তারাও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।
সাধারণত প্রতি মাসের প্রথম এবং শেষ দিনটিকে রেশন ডিলারদের নো ট্রানজেকশন ডে হিসেবে ধরা হয়। ফলে মাসের এই দুটি দিন রেশন ডিলারদের কোনও কাজ হয় না। কিন্তু, মঙ্গলবার দিল্লিতে সংসদ ভবন অভিযান করেছে রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অফ ডিলার্স ফেডারেশন। এই কর্মসূচিতে যোগদানের কারণে রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকান বন্ধ রয়েছে। গতকাল সংসদ ঘেরাও অভিযান চালিয়েছেন ডিলাররা। দিল্লি থেকে ফেরার জন্য আরও দুদিন সময় হাতে নেওয়া হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে চার দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিলারদের সংগঠন।
এ প্রসঙ্গে খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি বলেন, সাধারণ মানুষকে কোনওভাবেই কষ্ট দিয়ে দুর্ভোগে রাখা যাবে না তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু, খাদ্য দফতরের আপত্তি সত্ত্বেও ডিলাররা সেই কথা শোনেননি। চার দিন দোকান বন্ধ রাখার ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাই এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে খাদ্য দফতর। যদিই ডিলার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, ‘আমরা রেশন দোকান বন্ধ রাখার কথা খাদ্য দফতরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম।’ তবে সেই চিঠির পরেও রেশন দোকান খোলা রাখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী।
রেশন ডিলারদের বক্তব্য, ‘সাধারণ মানুষের রেশন দোকানে এসে নানা সমস্যা হচ্ছে। তা হয়তো খাদ্য দফতরের জানা নেই। সেই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আমরা সংসদ ভবন অভিযান করেছিলাম।’ একই সঙ্গে ডিলারদের স্পষ্ট বক্তব্য, খাদ্য দফতর ব্যবস্থা নিলে তারাও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।