শিক্ষকরা বলছেন বিয়েতে মত না থাকা সত্বেও জোর করে বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিলেন ছাত্রীটি। শুক্রবার রাতে নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল আকলেমা বেগম নামে ওই মূক ও বধির ছাত্রীর। যদিও শিক্ষকদের দাবি মানতে নারাজ ছাত্রীটির পরিবার।
গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ছাত্রীটির দেহ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার নরসিংপুর গ্রামে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
পুলিশ এসে ছাত্রীটির দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। মৃত ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, বেগম রাবেয়া খাতুন হাই স্কুলে পড়তেন আকলেমা বেগম। তাঁর উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়ে খগেনহাট নাথুনি সিং হাইস্কুলে। পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। শুক্রবার হঠাৎ এই কাণ্ড করে বসে আকলেমা।
আরও পডুন। বর্ধমানে স্কুলের বাইরে মদ খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন বর্ষীয়ান শিক্ষক!
আরও পড়ুন। সমকামী সম্পর্কে টানাপোড়েন, রায়গঞ্জে ছুরিকাহত তরুণী
ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধও স্কুলও। তাঁর স্মরণে স্কুলে একটি স্মরণসভারও আয়োজন করা। সেই স্মরণ সভার পর স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, 'পরীক্ষার মধ্যেই গ্রামের এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবকের সঙ্গে ওর জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়েতে মেয়েটার মত ছিল না। ওই কারণেই আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে আমাদের।'
আরও পড়ুন। মহিলাকে ফাঁড়িতে নিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ, সাসপেন্ড SI
আরও পড়ুন। মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা পৌঁছল বন দফতরের কাছে, বন্যপ্রাণীর হানা নিয়ে নির্দেশ
কিন্তু শিক্ষকদের এই দাবি মেনে নিতে তাঁর পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মৃত ছাত্রীর ভাই সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'সবই তো ঠিক ছিল। পরীক্ষাও দিচ্ছিল। কী থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।'
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।