আদিবাসী যুবতীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল হাবিবপুর থানার মঙ্গলপুরা গ্রাম। আর নৃশংসতার সাক্ষী থাকল বাংলা। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হলেন মালদহের এক আদিবাসী যুবতী। এমনকী যৌন হেনস্তা করা হয় তাঁর বোনকেও। এই ঘটনার খবর পেয়ে শোকে হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার মায়ের। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন তাঁরা স্থানীয় এক বিয়ের কন্যাযাত্রী হিসাবে গিয়েছিল। এরপর বাড়ি ফেরার পথে, রাস্তায় দুটি মোটরবাইক পথ আটকায় দুই বোনের। এরপর তাঁদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি পুকুর পাড়ে। সেখানে গণধর্ষন করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের আর্তনাদ কানে যেতেই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তবে তার আগেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালায়। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হবিবপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। মেয়ের উপর অত্যাচারের খবর পাওয়া মাত্রই হৃদরোগে আক্রান্ত হন নির্যাতিতার মা। তড়িঘড়ি তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে একজন পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরা হয়। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা জানান, চারজন যুবক ধর্ষণ করে তাঁকে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা। পুলিশ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রত্যেকে।