এবার পাল্টা গীতাপাঠের আসর বসাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার কলকাতার ব্রিগেডে গীতা পাঠ করা হয়। সেখানে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি বেশি ছিল। এবার পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও গীতা পাঠ করা হবে। তবে সেটা কলকাতায় নয়। এই গীতাপাঠ করা হবে পূর্ব মেদিনীপুরে অর্থাৎ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলায়। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সূচনায় গীতাপাঠের আসর বসবে বলে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। সুতরাং রাজ্য–রাজনীতিতে গীতাপাঠ ঢুকে গিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে।
এদিকে কয়েক বছর ধরে দিঘার সমুদ্র সৈকতকে আরও আকর্ষণীয় করতে ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য সরকার। পর্যটক টানতে পুরীর মন্দিরের আদলে সৈকতনগরীতেই তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ দেবের মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী বছর (২০২৪) এপ্রিল মাস নাগাদ উদ্বোধন হতে পারে মন্দিরের। আর তখনই দিঘায় বসবে গীতা পাঠের আসর। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময় জেলার ব্রাহ্মণদের নিয়ে করানো হবে গীতা পাঠ। সেটা লক্ষ কণ্ঠে কিনা সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ করা হয়নি। তবে ভিড় যে উপচে পড়বে তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আজ রামনগর ১ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। প্রতিবাদ সভা থেকে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপির গীতা পাঠে বেশি লোক হয়নি। তাই যখন ওদের ডাকে লোক আসেনি তখনই স্বামীজীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলেন। আমরা তার আগে চণ্ডীপাঠ করব ভেবেছিলাম। কিন্তু কোনও কারণ বসত তা হয়ে ওঠেনি। তবে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন গীতা পাঠ করা হবে। আশা করছি ১০ হাজার মানুষ থাকবেন।’ এটা কার্যত বিজেপিকে খোঁচা দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘এক ছাত্র আপনার প্রেমে পড়েছে’, কলেজ অধ্যক্ষের প্যাড ব্যবহার করে প্রেমপত্র ছাত্রের
ব্রিগেডে গীতাপাঠের দিন অনুষ্ঠান শেষ হতেই আসরে নেমে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ৩ হাজার ৭৫০জন লোক হয়েছিল ওই গীতাপাঠে। আয়োজকরাও হলফ করে বলতে পারেননি লক্ষ লোক এসেছিল। এমন আবহে পাল্টা গীতাপাঠ রাজ্য–রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ এই গীতা পাঠ যখন হবে তথন হয় লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে অথবা চলছে। সুতরাং সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।