ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে মারাত্মক করোনাভাইরাসের আগ্রাসন রুখতে দার্জিলিং জেলায় তিনটি বিশেষ স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির গড়ল প্রশাসন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চিন সফর শেষ করে ভারতে প্রবেশ করতে পারেন নেপালের বেশ কিছু বাসিন্দা। উল্লেখ্য, ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিত্সার প্রয়োজনে প্রতি মাসে নেপাল সীমান্তের দার্জিলিং পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন অসংখ্য নেপালবাসী।
আরও পড়ুন: চিন থেকে ভারতে ফেরত মহিলার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ, ভর্তি হাসপাতালে
সোমবার দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানান, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভোগা রোগীদের অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিবিরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য শিবিরের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে তাঁকে হাসপতালে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই সমস্ত রোগীর চিকিত্সার জন্য বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়ে
দেখুন: করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ৪১, সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ চিনের প্রাচীরের একাংশ
নেপাল-ভারতে সীমান্তে বহাল সশস্ত্র সীমা বল-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরকে সহায়তা করতে সীমান্ত অঞ্চলে মানুষের গতিবিধির উপরে কড়া নজরদারি চলেছে।
ছয় মাস আগে চিন সফর সেরে আসা শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, নেপাল সীমান্ত দিয়েই সে দেশে নিয়মিত সফর করেন উত্তরবঙ্গের বহু ব্যবসায়ী। তাঁর মতে, ‘বাগডোগরা থেকে চিনের কোনও শহরে যাওযার জন্য উড়ান পরিষেবা না থাকায় কলকাতা, দিল্লি বা কাঠমান্ডু থেকে বিমান ধরেন যাত্রীরা। সংক্রমণের আশঙ্কা তাই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর প্রস্তুতি ব্যক্তিগত ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। মহামারী ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ সাত রাজ্যের বিমানবন্দরগুলিতে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সফর করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।