সকাল ৯টা ৪৫। ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ হোসেনের কাছে একটি ফোন আসে। তৃণমূল নেতার দাবি, ভাতার থানার মেজবাবু পরিচয় দিয়েই ফোনটা এসেছিল। একটা বিষয় নিয়ে সেই ব্যক্তি তৃণমূল নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপরই মেজবাবুর পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তি জরুরী প্রয়োজনে তৃণমূল নেতার কাছ থেকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা চায়। এরপর আবার কিছুক্ষণ পরে মেজবাবুর ছেলে পরিচয় দিয়ে আরও ১০ হাজার টাকা চায় অপর এক ব্যক্তি। এরপর কী হল?
দুটি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। এদিকে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলেছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও টাকা ফেরৎ না পেয়ে ওড়গ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে ওই তৃণমূল নেতা সবকিছু খুলে বলেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ওই নম্বরটি মেজবাবুর নম্বর নয় বলে তৃণমূল নেতার দাবি। গোটা ঘটনায় ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
কিন্তু গোটা ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। থানার মেজবাবুর নাম শুনে কেন শাসকদলের ওই নেতা একেবারে ধার করে টাকা পাঠিয়ে দিলেন নির্দিষ্টি অ্যাকাউন্ট নম্বরে? পুলিশের নাম শুনে কেন যাচাই না করেই তিনি টাকা পাঠালেন এই প্রশ্নও উঠছে? তবে সব শেষে একথা বুঝেছেন তৃণমূল নেতা, যে পুলিশের নাম করে ঠকানো হয়েছে তাঁকে। এবার টাকা ফেরতের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতা।