শিলিগুড়ির বাগডোগরার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়। রাজ্য জুড়ে যখন হই হই করে পাশ করেছেন অনেকেই। তখন বাগডোগরার এই স্কুলের ৩৫ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করতে পারেননি উচ্চমাধ্যমিকে। এমনকী হোম সেন্টারে পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারেননি। আর সেই রাগে বিদ্যাসাগরকেও রেয়াত করলেন না তাঁরা। তাঁর নামেই যে স্কুলের নাম। যত রাগ গিয়ে পড়ল সেই প্রাতঃস্মরণীয় মণিষীর উপর। সেটাও আবার হাতে তৃণমূলের পতাকা হাতে। এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই।
তাদের স্লোগান, শিক্ষা ব্যবস্থা হায় হায়! ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হায় হায়!
ফেল করা পড়ুয়াদের দাবি, চক্রান্ত করে তাদের পাশ করানো হয়নি। সবাই পাশ করে গেল আর আমরা পাশ করব না? দলে দলে জড়ো হতে থাকেন স্কুলের গেটের সামনে। হাতে আবার তৃণমূলের পতাকা। বাগডোগরা থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। তারা কোনওরকমে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।
তবে উত্তীর্ণ না হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের আচরণে অস্বস্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের পরীক্ষায় কীভাবে তাদের পাশ করানো যাবে তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না শিক্ষকরা। নম্বর নিয়ে সংশয় হলে তারা খাতা রিভিউ করার জন্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু তা বলে, বিদ্যাসাগর হায় হায়?
এদিকে এই ঘটনার কথা শুনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতৃত্বের দাবি, ওখানে তৃণমূলের পতাকা পড়েছিল। সেসব কুড়িয়ে ওরা এই কাণ্ড করেছে। জানতে পেরেই পতাকা আমরা সরিয়ে নিয়েছিলাম।