আজ, দোল উৎসব উপলক্ষ্যে নানা রঙে মেতে উঠল গোটা শান্তিনিকেতন। আর তার জন্য শনিবার থেকেই এখানে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। রবিবার সেটা চরমে পৌঁছে যায়। তিল ধারণের জায়গা নেই কোথাও। বিপুল পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের আঙুল ফুলে কলাগাছ। তবে বিশ্বভারতী এই বছরও দোলের দিন বসন্ত উৎসব উদযাপন থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। ক্যাম্পাসে ভিড় এড়াতেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ করেছে বলে সূত্রের খবর। তবে শহরের নানা প্রান্তে বসন্ত উৎসব উদযাপন করছে স্থানীয় মানুষজন। আবার একাধিক ওয়ার্ড কমিটিগুলিতেও দেখা যাচ্ছে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠতে।
এদিকে সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে উপচে পড়েছে ভিড়। এই ভিড় যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গিয়েছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে। ভিড় সামলানোর পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য খোয়াই হাটের নানা প্রান্তে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে পুলিশ। এমনকী পর্যটকদের স্বার্থে প্রশাসন এবং ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের পাউচ, স্বাস্থ্য শিবির, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। সবমিলিয়ে বসন্ত উৎসব শান্তিনিকেতনে জমজমাট হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ইডি অফিসারদের উপর হামলার নেপথ্য কাহিনী কী? তদন্তে জোর দিচ্ছে সিবিআই
অন্যদিকে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব দেখার জন্য আগে দেশ–বিদেশ থেকে বিপুল পর্যটক এখানে ভিড় জমাতেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের পর থেকে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। উপচে পড়া ভিড় এড়াতে এখন কর্তৃপক্ষ দোলের দিন বসন্ত উৎসব আয়োজন করা থেকে সরে এসেছে। ২০২৪ সালেও যার অন্যথা হল না। ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ঠিক হয়েছে, আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে বসন্ত উৎসব ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হবে। বিশ্বভারতী থেকে এই খবর মিলেছে। সুতরাং কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
এছাড়া বোলপুর পুরসভা সূত্রে খবর, শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, রতনপল্লি নিমতলা মাঠ, জামবুনি দুর্গাপুজোর মাঠ, কাছারিপট্টি ম্যানেজারের মাঠ, রবীন্দ্রপল্লি, নুতনপল্লি–সহ নানা জায়গায় বিশ্বভারতীর আদলে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতা থেকে আসা পর্যটক মৌমিতা ভট্টাচার্য ও সুমনা সেনগুপ্ত বলেন, ‘খোয়াইয়ের হাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। খুবই ভাল লাগছে। সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাটে যানজট তেমন নেই। দোল খেললাম। খুব মজা হল।’ এখন নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বোলপুর হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেছেন, ‘সমস্ত হোটেল পর্যটকে ভর্তি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় তাই এখন ভাড়াও বেশি।’