উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তা নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পৃথক রাজ্যের আওয়াজ তুলতে গিয়ে নিজেদের প্রদীপের তলায় অন্ধকারটাই দেখেননি তাঁরা। তাই তাঁরই কেন্দ্রে ভাঙন ধরেছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একুশের নির্বাচনের পর থেকে একে একে বিজেপি ছেড়ে অনেকেই যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শনিবার কালচিনি সাবিত্রী ধর্মশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় বিজেপির তফশিলী উপজাতি মোর্চা জেলা সভাপতি কমল লামা, সম্পাদক সনিতা লামা–সহ জয়ঁগা এলাকার ১১ জন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলা কো–অর্ডিনেটর পাশাং লামা। সুতরাং ভাঙন ঠেকাতে ব্যর্থ হল গেরুয়া শিবির।
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তার পর থেকেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ–সহ ৮জন। গঙ্গাপ্রসাদের গড় কালচিনিতে কার্যত সাফ হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। শনিবারের যোগদান নিয়ে পাশাং লামা বলেন, ‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেন। তাই মানুষ দলে যোগ দিচ্ছেন।’
এই বিষয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এখন দল ভাঙানোর খেলায় মেতেছে। তাতে বিজেপির কোন ক্ষতি হবে না।’ ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন তিন বিধায়ক বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী নেতাদের দাবি, নির্বাচন আবহে দিল্লির নেতৃত্বের ‘কড়াকড়ি’ পছন্দ হয়নি। আগামী ২৯ জুন বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর।