তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা করার ছক কষেছিল আইএসএফ বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ, বুধবার ভাঙড় জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। একদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন দুয়ারে। অন্যদিকে ধর্মতলায় গণ্ডগোল পাকিয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এই পরিস্থিতিতে এবার উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা। ভাঙড়ের ডামজুলি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৭টি তাজা বোমা। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় ভাঙড় থানার পুলিশ। তখনই তল্লাশিতে উঠে আসে তাজা বোমাগুলি। এমনকী উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির সামগ্রীও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজে চলছে তল্লাশিও। এই বোমাগুলি দিয়ে হামলা করার জন্যই মজুত করা হয়েছিল। কোনও পরিকল্পনা ছিল। যা ভেস্তে গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? গত সপ্তাহে তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। তখনও উদ্ধার হয়েছিল বোমা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির কাছ থেকে বোমা উদ্ধার হয়। ভাঙড়ের উত্তর গাজিপুরে চাষের জমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বোমা। এমনকী উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। এই ঘটনায় তিনজন আইএসএফ কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তার উপর ধর্মতলায় এসে পুলিশকে আক্রমণ করা হয়। তাতে গ্রেফতার হয় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তখন থেকে আরও তেতে ওঠে ভাঙড়।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা নিয়ে আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আইএসএফের কর্মীরা বোমা–বন্দুক নিয়ে ওই জায়গাতেই বসেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উপর হামলা করারই চক্রান্ত করছিল তারা। তবে সাধারণ মানুষ সেই খবর আগেই পেয়ে পুলিশকে জানিয়ে দেন। তারপরেই আগের দিন যাঁরা এখানে গুলি চালিয়েছে, অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজন ধরা পড়েছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup