এসএসসি দুর্নীতি মামলার রায়ের পরে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একেবারে কড়া ভাষায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন যে ‘নির্লজ্জ, মিথ্যাচারী’ মুখ্যমন্ত্রী মমতার অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করার পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রয়ে গিয়েছেন। একজন নির্লজ্জ, মিথ্যাচারী মানুষ।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুখ্যমন্ত্রীর তো ক্ষমতায় থাকার কোনও কারণই নেই। কোনও অধিকার নেই।’ তারইমধ্যে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে এই নির্লজ্জ সরকার আজকেই পদত্যাগ করবে। আশা করতে পারি। আর কী করতে পারি। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি তাদেরকে কান ধরে টেনে নামিয়ে দিতাম।’
আজ আনন্দ প্রকাশের দিন নয়, বললেন অভিজিৎ
অভিজিৎ বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তবে আজ আনন্দ প্রকাশের দিন নয়। কারণ এই জোচ্চরদের অধীনে আমরা আর থাকতে চাই না। না, কোনও স্বস্তির বিষয় নেই। আমি যখন বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছি বা আজ যখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কাজ করি, তখন সবসময় মাথায় রাখতে হয় যে আদালতের আদেশ মেনে নিতে হবে। এর মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত বিষয় ছিল না যে আমার স্বস্তি হবে, আমার অস্বস্তি হবে।’
‘জোচ্চর, মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ চাই, বললেন অভিজিৎ
অভিজিৎ বলেন, ‘আজ আমার জয় নয়। আজ আমার অত্যন্ত খারাপ লাগছে যে এরকম একজন জোচ্চর মুখ্যমন্ত্রীর শাসনের পাল্লায় আমি আছি। এই মুখ্যমন্ত্রীকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। আমি এই জোচ্চর, মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর (ইস্তফা চাই)। যিনি জোচ্চুরিকে প্রশ্রয় দেন। তাঁর (সরকারের) তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দালালি করেছিলেন, তিনি এখন জেলে। তাঁর যদি বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ বলে কিছু থাকে, এখনই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত এবং এখন থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেওয়া উচিত।’
‘আমার হাতেও চুরি ধরা পড়েছিল’, বললেন অভিজিৎ
অভিজিৎ বলেন, ‘আমার যে খুব আনন্দ হচ্ছে, সেটা নয়। কারণ জোচ্চুরির দ্বারা আমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি। আদালতে ধরা পড়ে গিয়েছি। আমি যখন আদালতে এই মামলায় ছিলাম, তখন আমার হাতও ধরা পড়ে গিয়েছিল। আজও ধরা পড়ে গিয়েছে। অত্যন্ত উপযুক্ত রায় হয়েছে।’
নাম না করে মমতাকে তোপ অভিজিতের?
অভিজিৎ বলেন, ‘তাঁদের (মাথা) ধরা উচিত। তাঁরা একটা সুরক্ষা বলয় তৈরি করে রেখেছেন এই ক্ষমতায় থেকে। পদত্যাগ করুক না। যদি সাহস থাকে, লজ্জা বলে যদি কোনও জিনিস তাঁদের শরীরে থাকে, আগে তাঁরা পদত্যাগ করুক। তারপর দেখা যাবে গ্রেফতার হবেন কি হবেন না। তাঁরা তো সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে আছেন। তারপর দেখব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমায় তো আহ্বান করেছিলেন যে জজগিরি ছেড়ে রাজনৈতিক ময়দানে আসুন। আমি তো এসেছি। তাঁদের তো এখন টিকিও দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা সুরক্ষা বলয় ছেড়ে নেমে আসুক। দেখা যাক, তাঁদের সিবিআই গ্রেফতার করে কিনা। এমন নয় যে তাঁরা ওখানে থাকলেই গ্রেফতার হবেন না। কিন্তু সুরক্ষা বলয়টা ছাড়তে হবে।’