বাড়িতে গিয়ে কেউ নথি দেখতে চাইলে দেখাবেন না। বুধবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিজেপি ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে NRC করানোর চেষ্টা করছে। তাঁর নির্দেশ, বাড়িতে এসে কেউ কাগজ দেখতে চাইলে স্ট্রেট বার করে দিন।
বুধবার বাঁকুড়ায় ছিল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠকেই ফের CAA ও NRC-র বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। নামে প্রশাসনিক বৈঠক হলেও আগাগোড়া বৈঠক ছিল রাজনৈতিক মন্তব্যে ভরা। অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটা ব্যতিক্রম নয়।
এদিন তেমনই রাজনৈতিক নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের বলেন, ‘১৫ জন বিজেপি পার্টির লোক হাবরায় একটা জুয়েলারির দোকানে গিয়ে লোককে বলেছে CAA করাতে হবে। তাদের কে এই অধিকার দিয়েছে? এরকম কেউ যদি বলে না, স্ট্রেট বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবেন। বলবেন যান, ভাগুন। আপনাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।‘
সতর্ক করে মমতা বলেন, ‘যদি বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে এসেছি, তাও শুনবেন না। কারণ, আমরা বলে দিয়েছি CAA, NRC, NPR হবে না। এটা ভাল করে মাথায় রাখবেন।‘
এর পরই প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘অনেক ফেকু পার্টি আছে। ফেক ভিডিয়ো, ফেক টুইটার বানায়।‘
মমতার দাবি, ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে NPR-এর তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস এগুলো করছে। বিজেপির নাম না বলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করছে। বলছে, ব্যাঙ্ক থেকে আসছি, পোস্ট অফিস থেকে আসছি। কেউ কোনও ইনফরমেশন চাইলে দেবেন না। বলবেন নট টু ডু ইট।‘
প্রথম থেকেই CAA ও NRC-র বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে বারবার পথে নেমেছেন তিনি। মমতার দাবি, CAA ও NRC দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজনৈতিক আকচাআকচির জন্য ব্যাঙ্ক – পোস্ট অফিসের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা তো পেশার তাগিদেই পৌঁছে যান সাধারণ মানুষের কাছে।