বালির নিশ্চিন্দায় প্রেমিকদের সঙ্গে পলাতক ২ বধূকে ফিরিয়ে নিতে রাজি নন তাঁদের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। বুধবার সকালে আসানসোল স্টেশনে ২ বধূসহ তাঁদের প্রেমিকরা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর এমনই জানিয়েছেন কর্মকার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার আসানসোল থেকে নিশ্চিন্দা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ বধূর ২ প্রেমিক শেখর ও শুভজিৎকে। আগামী কাল হাওড়া আদালতে পেশ করা হবে তাঁদের।
নিশ্চিন্দার কর্মকার পরিবারের ঘনিষ্ঠদের দাবি, পলাতক দুই বধূ অনন্যা ও রিয়াকে ফিরিয়ে নিতে চায় না তারা। তবে ছেলে আয়ুষকে ফিরে পেতে চায় পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মকারদের দোতলা বাড়ির নির্মাণকাজের জন্য প্রায় ৬ মাস সেখানে ছিলেন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের বাসিন্দা শেখর রায় ও শুভজিৎ দাস। তখনই প্রথমে ছোট বউ অনন্যার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে শেখরের। পরে বড় বউ রিয়া শুভজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান ২ রাজমিস্ত্রি। তবে অনন্যাকে একটি মোবাইল ফোন দিয়ে যান শেখর। সেই ফোনেই ২ বধূর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকরা যোগাযোগ রাখতেন।
অভিযোগ, গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে শেখরের সঙ্গে দেখা করেন অনন্যা ও রিয়া। সেখানেই পালানোর পরিকল্পনা করেন তিন জন। সঙ্গে ছিল রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষও। তাঁকে নিয়েও প্রথমে সামসেরগঞ্জ যান তিন জন। এক রাত সেখানে কাটিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।
এর মধ্যে অনন্যার মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে অনন্যার অবস্থান জানতে পারেন গোয়েন্দারা। তিনি মুম্বইয়ে আছেন জেনে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে হাওড়া সিটি পুলিশের একটি দল। এরই মধ্যে মোবাইল ফোন ট্যাপ করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, আর্থিক সমস্যা জন্য রাজ্যে ফেরার পরিকল্পনা করছে চার জন। মুম্বই থেকে ট্রেনে আসানসোল আসছে তারা। সেখান থেকে বাসে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই খবরের ভিত্তিতে বুধবার সকালে আসানসোল স্টেশন থেকে চার জনকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করে আয়ুষকে।