বুধবার বেলার দিকে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বুধ পেরিয়ে বৃহস্পতিতেও সেই তল্লাশি অভিযান জারি থাকল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তন্ময়ের পরিবারের একটি রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে আয়কর দফতর। উল্লেখ্য, রাজ্যে ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি। এর মাঝে তন্ময়ের পরিবারের রাইসমিলে আয়কর হানা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তন্ময়। এরপরই এই আয়কর হানা হওয়ায় প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলছে ঘাসফুল শিবির। (আরও পড়ুন: ‘দাস’ আখ্যা দেন পুলিশকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের)
উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে তন্ময় ঘোষ বিজেপির প্রতীকে নির্বাচনে জিতেছিলেন। তারপর গত অগস্ট মাসে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এই আবহে তৃণমূল অভিযোগ করছে, ভয় দেখাতেই বিধায়কের বাড়িতে ও অফিসে আয়কর আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে। এদিকে তন্ময়ের বিধায়ক কার্যালয়েও তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বিধায়কের মদের দোকানেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এদিকে বিষ্ণুপুরের চূড়ামণিপুরে বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের একটি রাইস মিল রয়েছে। তন্ময় ঘোষের রাইস মিলেও যান আয়কর আধিকারিকরা। এদিকে রাইস মিলের কোনও কর্মীকে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হয়নি এই ২০ ঘণ্টায়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহুয়ার পাশে এবার বামেদের সুজন, আদানি ইস্যুতে 'বার্তা' ঘাসফুল শিবিরকে
এদিকে গতকাল যখন এই তল্লাশি শুরু হয়েছিল, তখন নিজের বাড়িতে ছিলেন না বিধায়ক। তিনি ছিলেন কলকাতায়। বিধানসভার কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। আয়কর দফতর হানা দিয়েছে শুনে তড়িঘড়ি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। জানা যায়, পেশায় ব্যবসায়ী তন্ময় ঘোষ ২০১৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন। তিনি বিষ্ণুপুর পুরসভার কাউন্সিলর হন। ২০২০ সালের মে মাসে বিষ্ণুপুর পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে প্রশাসকমণ্ডলীতে আনা হয়। আবার ওই বছর তন্ময়কে বিষ্ণুপুর শহরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বও দেয় দল। একুশের নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটে জেতেন। পরে তৃণমূলে ফিরে যান। এদিকে বিধায়কের অফিসে আয়কর হানা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, 'এই বিধায়ক কোন দলে আছেন নিজেই জানেন না।'