জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বাংলা থেকে প্রথম স্থানের অধিকারী ইরাদ্রি বসু। এই খবর এখন চাউর হতেই উত্তরবঙ্গের মানুষজন সফল ছাত্রের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন। তার সঙ্গে পাড়া–পড়শি থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব তো আনাগোনা শুরু করেইছে। এই আবহে খুশির হাওয়া বইতে শুরু বসু পরিবারে। কারণ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অসাধারণ রেজাল্ট করেছে তাঁদের পরিবারের ছেলে। রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়ে কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ির বাসিন্দা ইরাদ্রি বসু। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৯৯ শতাংশ। যা এককথায় অনবদ্য।
এদিকে ইরাদ্রি এখনও পড়াশোনা করছে দার্জিলিং পাবলিক স্কুলে। সারাদিন এই ছাত্র পড়াশোনা করে এমন নয়। বরং যখন পড়তে বসে তখন অনেকটা সময় ধরে পড়াশোনা করে ইরাদ্রি। মাঝে মধ্যে গল্পের বই থেকে শুরু করে ঘরোয়া খেলায় নিজেকে মাতিয়ে রাখে ইরাদ্রি। নম্র স্বভাবের ইরাদ্রি খুব সিস্টেমেটিক পথেই পড়াশোনা করে। তারপর কখনও গান শোনে, কখনও টিভি দেখে সময় কাটায়। তবে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ধরে সে পড়াশোনা করে। নিজের ছন্দে পড়াশোনা করে চলে এই ছাত্রটি। তবে পড়ার সময় থাকে তার চূড়ান্ত একাগ্রতা।
অন্যদিকে বসু পরিবার ছেলেকে নিয়ে আবেগে ভাসছেন। আর ইরাদ্রি বসুর কথায়, দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ছাত্রটি নিজেকে ব্যস্ত রাখত পড়াশোনায়। মাঝে মাঝে অবশ্য গ্যাপ দিত। তবে সারাদিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই কাটত পড়াশোনার মধ্যে দিয়েই। ইরাদ্রি বসু বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের দেওয়া সাজেশান তো কাজে লেগেছে। তার উপর আমি নিজের পছন্দের কিছু বইও পড়েছি। অবসর সময়ে গেম খেলতে পছন্দ করি। দাবা খেলতে ভালবাসি।’ এই ফলাফল এখন জেলাজুড়ে জোর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার হাত সারাজীবন তোমার জন্য থাকবে’, ভ্যালেন্টাইন দিবসে শোভনকে বৈশাখী
এছাড়া ইরাদ্রি নিজের পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আগামী দিনে অঙ্ক নিয়ে এগোতে চান এই ছাত্রটি। অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে চায় ইরাদ্রি। ভবিষ্যতে আর যাঁরা জয়েন্ট দিতে চলেছে তাঁদের উদ্দেশে ইরাদ্রি বলেন, ‘পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হবে। মনসংযোগ হারালে চলবে না। রোজ চর্চা করতে হবে। আমার মা খাবারের খেয়াল রাখতেন। আমার শরীর ঠিক আছে কি না সবসময় সেদিকে নজর দিতেন। আর বাবা তো পড়াশোনার খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখতেন।’ এভাবেই নিজের উপর আস্থা রেখেই সাফল্য পেয়েছে ইরাদ্রি বসু।