দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ জুট মিল খোলার দাবিতে হুগলির পাঁচ জায়গায় বিক্ষোভ অবরোধ করলেন শ্রমিকরা। শুক্রবার সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি, আইইউটিইউসি, টিইউসিসি প্রভৃতি শ্রমিক সংগঠন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ অবরোধ করে। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, চন্দননগরের গোন্দলপাড়া এবং শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিলে গত জানুয়ারি থেকে তালা ঝুলছে। রিষড়া ওয়েলিংটন জুট মিলও বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে নর্থ শ্যামনগর জুট মিলও বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় জুটমিলগুলির কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন শ্রমিকরা। অনেকে রিক্সা চালিয়ে আবার অনেকেই টোটো চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় অবিলম্বে জুটমিল খোলার দাবিতে গতকাল অবরোধে নামে শ্রমিক সংগঠনগুলি। গতকাল সকাল দশটা নাগাদ ওয়েলিংটনের সামনে জিটি রোড অবরোধ করেন শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, মিল পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে সেখানে বহুতল নির্মাণ করার চক্রান্ত চলছে। মিল থেকে যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে। অথচ পুলিশ নিষ্ক্রিয়। অন্যদিকে, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ইন্ডিয়া জুট মিল বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় মিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে তিন বছর এই জুট মিল বন্ধ ছিল। এআইটিইউসি অনুমোদিত ফেডারেল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস দত্ত, সিআইটিইউ-এর জেলা সম্পাদক তীর্থংকর রায় প্রমুখ শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
শ্রমিকদের বক্তব্য, গোন্দলপাড়া জুট মিল এক বছর ধরে বন্ধ ছিল। কিন্তু, খোলার পর আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাঁচ মাস ধরে এই জুট মিল বন্ধ রয়েছে। এদিকে, শ্যামনগরের জুটমিল খোলার দাবিতে চাঁপদানি পলতাঘাটে শ্রমিকরা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। ওয়েলিংটন জুট মিলের শ্রমিক অভয় দাস জানান, জুট মিল বন্ধ থাকায় এখন কোনওভাবে দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু তাতে প্রতিদিন আয় হয় না। ফলে সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন। এদিন এই অবরোধের জেরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন চন্দননগরের মহকুমা শাসক অয়ন দাশগুপ্ত।