বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Registrar Removed: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত উপাচার্যের, কেন এমন ঘটল?

Registrar Removed: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত উপাচার্যের, কেন এমন ঘটল?

প্রবল উত্তেজনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে গায়ের জোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে তাঁর চেম্বারে পুনরায় বসিয়ে দেওয়া হয়। তখনই পালটা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তোলেন রেজিস্ট্রার। রেজিস্ট্রারের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘‌গো–ব্যাক’‌ স্লোগান দেন শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মচারীর একাংশ।

ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে ১০ মার্চ যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। আর ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন শিক্ষকরা। এই ঘটনার পরেও শিক্ষকদের উপস্থিতি দেখিয়ে পুরো বেতন দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বিরুদ্ধে। আর তার জেরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্ত করলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। এই ঘটনার জেরে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

এদিকে মঙ্গলবার চন্দন কোনার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুয়ারে গেলেই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী গেটে আটকে দেন। আর তাঁরাই রেজিস্ট্রারকে জানান, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার পরে চন্দন কোনার শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই বিক্ষোভে সামিল হন শিক্ষক–শিক্ষিকারা। আর রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‌এই নোটিশ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক। উপাচার্য তিন মাসের এক্সটেনশনে রয়েছেন। ওনার এক্তিয়ারই নেই এই নোটিশ জারি করার।’‌

অন্যদিকে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে একপ্রকার গায়ের জোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। তাঁকে তাঁর চেম্বারে পুনরায় বসিয়ে দেওয়া হয়। আর তখনই পালটা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তোলেন রেজিস্ট্রার। এদিন রেজিস্ট্রারের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘‌গো–ব্যাক’‌ স্লোগান দেন শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ। তবে ইতিমধ্যেই যাঁরা সেদিন আসেননি সরকারি দফতরে তাঁদের শোকজ করা শুরু হয়েছে।

কে, কি অভিযোগ তুললেন?‌ এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার বলেন, ‘‌উপাচার্যের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রেজিস্ট্রারই একবছরের বেশি টেকেন না। তিনি অনেক অনৈতিক কাজ করেন। অবৈধভাবে গাছ কাটাচ্ছেন। ডেভেলপমেন্টের যে সমস্ত কাজ হচ্ছে সেই হিসাবপত্র তিনি ঠিকমতো দেন না। এসবের প্রতিবাদ করতেই বরখাস্তের নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’‌ পাল্টা উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘‌গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২০–২১ এবং ১০ মার্চ রাজ্য সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি ছিল। ওই দিনগুলি নিয়ে বিশেষ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের পক্ষ থেকে। তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা ওই দিনগুলিতে উপস্থিত থাকছেন না তাঁদের বেতন কিছুটা কাটা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনামা লঙ্ঘন করে অনুপস্থিত সমস্ত কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার পুরো বেতন দিয়েছেন। তাই বরখাস্ত হয়েছেন।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন