মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’। সরকারি গণ্ডি পেরিয়ে সেই প্রকল্প এবার ফুটে উঠবে দুর্গাপুজোর মণ্ডপেও। এবছর হাওড়ার সালকিয়া দুর্গোৎসব বারোয়ারিতলা পুজোর থিম হল লক্ষী ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আদলে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি করেছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। শুধু থিমই নয়, লক্ষী ভাণ্ডার প্রকল্পের অনুকরণে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের। এই পুজোর ১৫০ তম বছর পূর্তি উপলক্ষে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
উদ্বোধন করলেন না মমতা, আক্ষেপ চেপে ভিন্ন ভাবনায় পুজোর সূচনা নাকতলা উদয়ন সংঘের
পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত ৫ দিন দর্শনার্থীদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রতিদিন এর জন্য ১০ জন করে দর্শনার্থীকে বেছে নেওয়া হবে লটারির মাধ্যমে। তাদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, এর জন্য ১০ দর্শনার্থীর নাম ও ফোন নম্বর লিখে পুজো কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। তা থেকে প্রতি আধঘণ্টা অন্তর অন্তর লটারির মাধ্যমে নাম বেছে নেওয়া হবে। তারপরেই এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
একেবারে লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের আদলে তৈরি করা হয়েছে এই দুর্গা মণ্ডপ। তাতে তুলে ধরা হয়েছে গ্রাম বাংলার চিত্র। পুজো কমিটির সভাপতি শমিত কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এ বছর আমাদের দুর্গা পুজোর থিম হল লক্ষী ভাণ্ডার। দেড়শ বছর ধরে এই পুজোর একটি বৈশিষ্ট্য হল এত বছর ধরে প্রতীমা, ঢাকি, পুরোহিত থেকে শুরু করে সকলেই বংশ পরম্পরায় যুক্ত রয়েছে।’ তৃতীয়ার দিন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এই পুজোর উদ্বোধন করবেন বলে পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।